• বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি! স্বস্তিতে পড়ুয়ারা, অবাক কাণ্ড রামনগরে
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
  • প্রচণ্ড দাবদাহ সহ্য সীমার বাইরে প্রাপ্ত বয়স্কদেরই। স্কুল পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই গরম সহ্য করা আরও কঠিন। প্রচন্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে এক অভিনব পন্থা বেছে নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের একটি স্কুল। কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি হল রামনগরের স্কুলে!চারিদিকে তীব্র গরম। অথচ, রামনগর এলাকার সোনপুরের আনন্দ নিকেতন নার্সারি স্কুলে চলছে প্রচুর বৃষ্টিপাত। কি শুনে অবাক হলেন? অভিনব ভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বিদ্যালয়। প্রচন্ড গরমে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়। এবার গরমে বিদ্যালয়ের ছাদে বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের জলের ফোয়ারা।

    যা থেকে অনবরত ঝরছে জল বৃষ্টির মত। বাইরে প্রচুর তাপমাত্রা থাকলেও বিদ্যালয়ের মধ্যে শীতল পরিবেশ বিরাজমান। ছাত্রছাত্রীরা নির্দ্বিধায় পঠন পাঠন করতে পারছে। তীব্র গরম ও রোদের হাত থেকে রেহাই পেতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে এই বিদ্যালয়।

    ওই বিদ্যালয় সূত্রে খবর, তিনতলা ঘরের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে শীতল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। রামনগরের সোণপুর উপকূলবর্তী এলাকায় দাবদাহে জনজীবন যেখানে অতিষ্ট এবং তাপমাত্রা 35 থেকে প্রায় 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। সেখানে ওয়াটার কুলিং সিস্টেমের কারণে বিদ্যালয়ের ভিতরের তাপমাত্রা ২৮-২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

    গরমে ফুটছে বঙ্গ, নজরে আজকের আবহাওয়া

    এছাড়াও তীব্র গরমে যেখানে জনজীবন অতিষ্ট সেখানে প্রাকৃতিক শীতল পরিবেশ পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা। বৃষ্টিহীন দিনে টিনের চালে বৃষ্টির ঝুমঝুম আওয়াজ। এসি নেই, তবুও এই গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যালয়ের ভিতর শীতল পরিবেশ। ঢেউটিন বেয়ে ঝরছে বৃষ্টির মত জল। আর এমন নির্মল ঠান্ডা পরিবেশে পড়াশোনা করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

    বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে ওয়াটার বেলও। নির্ধারিত সময় সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জল পান করার বার্তা দেও য়া হচ্ছে। খুশি ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবিকারা। আনন্দ নিকেতন নার্সারি স্কুলে এমন অভিনব আয়োজন পথ দেখাচ্ছে বাকি স্কুলগুলোকে। গরমেও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনব আয়োজন করে গঠন-পাঠন করা যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপীকৃষ্ণ শাসমল বলেন, ‘আমাদের রাজ্য রাজস্থানের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে, সরকারি স্কুল ছুটি থাকলেও আমরা তো ছুটি দিতে পারিনা এতদিন।’ তিনি জানান, এরপরেই আমরা চিন্তাভাবনা করলাম, গার্ডেন ফোয়ারা সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে এরকম কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যে কারণে, এখানে ঠান্ডা মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)