• ‌‌হেলমেট না পরে বাইক র‌্যালি করে বিতর্কে ইউসুফ পাঠান
    আজকাল | ০৩ মে ২০২৪
  • ‌আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই মোটর ভেহিকল আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হেলমেট ছাড়াই দীর্ঘ রাস্তা বাইক চালিয়ে প্রচার করার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এবং তৃণমূলের বহরমপুর–মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে । ইতিমধ্যে সেই নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা আজকাল ডট ইন যাচাই করেনি)। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কান্দির নতুন পাড়া থেকে বাইপাস মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ পথ বাইক নিয়ে র‌্যালি করেন ইউসুফ। সাদা এবং কালো রঙের রয়্যাল এনফিল্ড চালিয়ে ইউসুফ পাঠান যখন কান্দি শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর পেছনের আসনেই বসেছিলেন অপূর্ব সরকার। তবে বাইক র‌্যালি করার সময় দু’‌জনের মাথাতেই ছিল না কোনও হেলমেট, অভিযোগ এমনই। তার পরিবর্তে দু’‌জনেই পরেছিলেন সাধারণ টুপি। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মাথায় হেলমেট না পড়ে বাইক চালালে মোটর ভেহিকল আইনের ১৯৪ (ডি) ধারায় বাইক চালকের ১০০০ টাকা জরিমানা এবং বাইক আরোহীর ৫০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। এর পাশাপাশি বাইক চালানোর সময় চালকের কাছে যদি বৈধ লাইসেন্স না থাকে তাহলে অতিরিক্ত আরও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। বাইকের অবস্থা এবং চালক কি ধরণের পোশাক পরে চালাচ্ছেন তা দেখেও জরিমানা করা যায়। তবে সূত্রের খবর, এই জরিমানা তৃণমূল প্রার্থী বা জেলা সভাপতিকে দিতে হয়নি। কীভাবে হেলমেট ছাড়া সাংগঠনিক প্রধান ও লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাইক চালালেন সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। প্রসঙ্গত, প্রায় দু’‌বছর আগে বহরমপুর শহরের ৩৪ নম্বর বাইপাস উদ্বোধনের আগে রাস্তার কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে হেলমেট ছাড়াই ওই রাস্তায় দীর্ঘ পথ বাইক চালিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরি। ইউসুফের মতো সেদিনও অধীর রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চালিয়েছিলেন মাথায় একটি টুপি পরে। তাঁর সওয়ারীর মাথাতেও হেলমেটের বদলে ছিল টুপি। সেই সময় তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল মোটর ভেহিকেল আইন ভাঙার জন্য। এবার সেই একই অভিযোগে বিদ্ধ হল তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এবং দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। কংগ্রেসের কান্দি মহকুমা সভাপতি সফিউল আলম খান (বনু) বলেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেস কোনও অন্যায় করলে মাফ। পুলিশ–প্রশাসন সেগুলো দেখতে পায় না।’‌ যদিও এই ঘটনায় অপূর্ব সরকার দুঃখপ্রকাশ করে জানান, ‘‌নিশ্চিতভাবে অন্যায় করেছি। গোটা বিষয়টি আবেগের বশে করে ফেলেছি। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে সকলের হেলমেট পরেই মোটরসাইকেল চালানো এবং তার সাওয়ারী হওয়া উচিত।’‌ 
  • Link to this news (আজকাল)