এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জামিন মামলায় নতুন মোড়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করার ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য সচিবের অনুমতি চাওয়া হচ্ছিল। এই মর্মে নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে নতুন তথ্য পেশ করলেন তাঁদের আইনজীবী।একেই কি বলে কাহানি মে টুইস্ট! বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্য সচিবের অনুমোদন না দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। মুখ্যসচিব কেন অনুমতি দিচ্ছেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্ট। শুক্রবার তা একেবারে উবে গেল উঠে আসা নতুন তথ্যে।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের জামিন মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে নতুন তথ্য তুলে ধরলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের তরফের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, তাঁর দুই মক্কেলকে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। ফলে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেমের অনুমতি দেওয়ার অথরিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব নয়।
হাইকোর্টে জানানো হয়, রাজ্যের মুখ্যসচিব যখন প্রায় দু’মাস সময় চেয়েছেন এই ব্যাপারে তার বক্তব্য জানাতে তাই তারা আপাতত তাদের জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে চায়। পালটা, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ এখন পর্যন্ত যাদের বিচারপর্ব শুরু করা যাচ্ছে না, তাঁদের মধ্যে কাদের রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন লাগবে আর কাদের রাজ্যপালের অনুমোদন লাগবে সেটা কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ধীরজ ত্রিবেদীকে আগামী মঙ্গলবার জানাতে হবে।
'আমাদের দোষটা কোথায়, চাকরি চলে গেল' প্রশ্ন চাকরিহারা শিক্ষকের
গতকাল, বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখ্যসচিবকে। মুখ্যসচিব কেন বারবার অনুমতি দিতে বিলম্ব করছেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
তিনি বলেন, ‘ এটা খুব খারাপ। এরকমটা ইচ্ছাকৃত দেরি। এইসব পদ্ধতি নিয়ে লাভ হবে না। আদালত অবমাননার কৌশল নিচ্ছেন নাকি?’ বিচারপতি জানান, আমাদের নির্দেশের অবমাননা এটা। রাজ্যের এজিকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানান, এই মামলার দ্রুত হওয়ার গুরুত্ব বুঝুন। আপনি এজি হয়ে যদি না বোঝেন এবং আদালতের কথা না শোনেন তাহলে বিচারব্যবস্থার অপমান হবে। আদালতের নির্দেশ না মানলে আদালত অবমাননায় রুল জারি হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।