• দত্তক সন্ন্যাসী পুত্রর সঙ্গে এক বিছানায় যৌনতায় লিপ্ত মহিলা রাজনীতিক, ভিডিয়ো প্রকাশ স্বামীর
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
  • ৪৫ বছর বয়সী রাজনীতিকের কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড়। ২৪ বছর বয়সী দত্তক পুত্র সন্তানের সঙ্গে একই বিছানায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়েন ৪৫ বছর বয়সী মহিলা রাজনীতিক। তাও আবার ধরা পড়েন নিজের স্বামীর কাছে। দত্তক পুত্র সন্তান আবার সন্ন্য়াসী বলেই পরিচিত।থাইল্যান্ডের রাজনীতিক প্রপাপোর্ন চোইওয়াদকোহর 'কেলেঙ্কারির' খবর প্রকাশ্য়ে আসার পরই সেদেশে হইচই। ২৪ বছর বয়সী সন্ন্যাসী ফ্রা মহা-এর সঙ্গে একই বিছানায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়েন প্রপাপোর্ন চোইওয়াদকোহ। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে একটি ভিডিয়োতে। ২৪ বছরের এই দত্তক পুত্র এবং ৪৫ বছরের মহিলা রাজনীতিককে হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেছেন স্বামী। ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন তিনি।

    স্বামীর অভিযোগ, দত্তক পুত্র ও তাঁর স্ত্রীর মতে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন এই খবর থাইল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। একজন রাজনীতিকিরে এমন কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রকাশ্যে আসার পর হইচই।

    প্রপাপর্ন চোইওয়াদকোহ মধ্য থাইল্যান্ডের প্রদেশ, সুখোথাইয়ের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি স্থানীয় এক চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের মার্চ মাসে সদস্য হয়েছিলেন থাইল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট পার্টির। গত বছর থাইল্যান্ডের এক বৌদ্ধ মন্দির থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ফ্রা মাহাকে দত্তক নিয়েছিলেন চোইওয়াদকোহর ও তাঁর স্বামী তাই। জানা গিয়েছে, ফ্রা মাহার জন্য চোইওয়াদকোহর অত্যন্ত কষ্ট হয়েছিল। তবে দত্তক নেওয়ার পর থেকেই স্ত্রী ও দত্তক নেওয়া বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর মধ্য়ে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেছিলেন তিনি।

    স্বামীর অভিযোগ, ক্রমশ তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দত্তক সন্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল। অভিযোগ, অনেক সময়ই প্রপাপর্ন চোইওয়াদকোহ ফ্রা মাহার সঙ্গে একটি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন ভিতর থেকে। দীর্ঘক্ষণ দরজা ধাক্কা দিলেও খুলতেন না তিনি। দীর্ঘক্ষণ পর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তিনি যুক্তি দিতে তিন নাকি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর সহ্গে ঘরে একান্তে প্রার্থনা করছিলেন। এরপরেই গাঢ় হয় সন্দেহ। ঘটনার দিন ব্যাঙ্কে ছিলেন চোইওয়াদকোহ। ব্য়াঙ্ক থেকেই বারাবর স্ত্রীকে ফোন করছিলেন তিনি। বারবার ফোন করে সাড়া না মেলায় তাইয়ের সন্দেহ জোরালো হয় চোইওয়াদকোহর প্রতি। এরপর পাঁচ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ফিরে এসেছিলেন সুখোথাইয়ে। বাড়ি ফিরে দত্তক ছেলে তথা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ঘরে ঘিয়ে নিজের স্ত্রী অর্থাৎ চোইওয়াদকোহ সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর যৌনতার মত্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।

    দু'জনক এমন অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ক্য়ামেরা অন করে ভিডিয়ো রেকর্ড করতে শুরু করেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিজিয়ায়। চোইওয়াদকোহ ও ফ্রা মাহা যে সম্পূর্ণ নগ্ন তা চাদর তুলে ভিডিয়োতে দেখান তাই। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করেন তোমরা দু'জনে খুশি তো?' তাই জানিয়েছেন সেই সময় তাঁর অত্যন্ত মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তিনি ঠকেছেন দিনের পর দিন একথা ভেবে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি।

    ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পলাতক ফ্রা মাহা। চোইওয়াদকোহ অবশ্য় পালাননি বলা চলে তাঁর পালানোর উপায়ও নেই। তঁর দাবি, দত্তক পুত্রের সঙ্গে তাঁর কনো অবৈধ সম্পর্ক নেই। ভিডিয়োতে যে ছবি ধরা পড়েছে তা দেখে মনে হতেই পারে যৌনতায় লিপ্ত তাঁরা। তবে সেরকম কিছু ঘটেনি। চোইওয়াদকোহর কথায়, 'আমরা যৌনতায় লিপ্ত হইনি। ভিডিয়ো দেখে যেমনটা মনে হচ্ছে তা আসলে নয়। ফ্রা-মাহার বেশ কিছু সমস্য়া ছিল। সেই নিয়েই কথা বলছিলাম আমরা।' তবে নগ্ন ছিলেন কেন তাঁরা? চোইওয়াদকোহ দাবি, 'আমি তখন আসলে স্নান করতে যাওয়ার জন্য় তৈরি হচ্ছিলাম।'
  • Link to this news (এই সময়)