লোকসভা নির্বাচনের আবহের মধ্যেই কর্নাটকের রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন। প্রজ্জ্বল রেভান্না যৌন কলেঙ্কারি নাড়া দিয়েছে গোটা দেশকে। তাঁর বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই অভিযোগ মোতাবেক সামনে এসেছে শত শত আপত্তিকর ভিডিয়ো। সেখানে প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের যৌন নির্যাতন করতে।তবে ভিডিয়ো সামনে আসতেই তা ভুয়ো বলে দবি করেছেন প্রজ্জ্বলরেভান্না ও তার পরিবার। তাদের দাবি, পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এমনটা করা হয়েছে।
কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যেই SIT গঠন করেছে। প্রজ্জ্বলআপাতত জার্মানিতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হচ্ছে। প্রজ্জ্বল রেভান্না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেব গৌড়ার নাতি এবং হাসান লোকসভার একজন বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, দেবগৌড়া এই এলাকার হোলেনরসিপুরে জন্মান। এখানেই বডড় হয়েছেন এবং এটিকে রাজনীতির একটি শক্ত ঘাঁটি বানিয়েছেন। এখন তাঁর নাতির জন্য তাঁর নিজের দুর্গের মানুষরাই মুখ ফিরিয়েছেন।
এখানকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এখানকার মানুষ দেবগৌড়া পরিবারকে ভয় পায় কারণ গত ২০ বছর ধরে এখানে তাদের দখল রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘ব্রাহ্মণরা বেদে বিশ্বাস করে। তারা সবাইকে সমান মনে করে এবং তাদর আলিঙ্গণ করে। কিন্তু দেবগৌড়া পরিবার নিজেদের ব্রাহ্মণদের থেকেও উপরে মনে করে। রেভান্নাএবং তার পরিবারের সংস্কৃতি আলাদা। দলিত সম্প্রদায়ের কেউ যদি তার সঙ্গে দেখা করতে চান তাবে তাকে খুব ভোরেযেতে হবে, কারণ স্নান না করে নাকিতিনি দলিতদেরসঙ্গে দেখা করেন না।‘
আরও একজন জানিয়েছেন, ‘সকালে স্নানের পর কোনও দলিত তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁরা রেগে যান। বলেন এই সময়ে কেন এসেছ? তারা নিজেদের লোকেদের বলে আমাদের সেখান থেকে সরিয় দেয়।’ যদিও একেনে দাবি করেচেন, এমন ব্যবহার নেভান্না পরিবারের বাকি লোকেদের। দেব গৌড়া এমনটা করেন না। তিনি সকলের সঙ্গেই ভালো আচরণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারাই জানিয়েছেন যে, ‘রেভান্নার বাড়িতে কাজ করে যেসব মহিলা তারা ভয়ে থাকত। কারণ স্নান কারার সময় তিনি তাদের সঙ্গে করে বাথরুমে নিয়ে যেতেন। এবং বাথরুমেই চলত যৌন নিপীড়িন।’
এমনকি এই সময় বাড়ির গৃহিনীরা এদিক ওদিক লুকিয়ে থাকতেন যাতে স্নানের পর প্রজ্জ্বলআরামসে নিজের ঘরে যেতে পারে। অভিযোগ, কোন মহিলা সাহায্যের জন্য প্রজ্জ্বোলের কাছে গেলে তাকেও ফাঁদে ফেলত সে। মহিলাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিত বলে প্রজ্জ্বোলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয়রাই।