• Amit Shah: ভোটের মাঝেই CAA প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা অমিত শাহর! শেষ মুহূর্তে বাজি মারার কৌশল?
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
  • ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একনও পর্যন্ত দু দফা ভোট হয়েছে। পাঁচ পর্বের ভোট প্রক্রিয়া এখনও বাকি। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ৪ জুন। তবে এই নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ CAA নিয়ে একটি বড় দাবি করেছেন।তিনি সিএএ প্রক্রিয়া শুরু করার তারিখ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বের আগে CAA-র অধীনে প্রথম নাগরিকত্ব জারি করা হবে। অমিত শাহ এই ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেছে আলোচনা-সামালোচনা। প্রস্ন উঠতে শুরু করছে, তাহলে কি সিএএ এই নির্বাচনী লড়ইয়ে বিজেপির তুরুপের তাস?

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত এই নির্বাচনে বিজেপিকে কতটা সুবিধা দেবে তা ফলাফলের পরেই স্পষ্ট হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সিএএ-র অধীনে আবেদনগুলি আসতে শুরু করেছে। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত চলছে। আমি মনে করি এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ের নির্বাচনের আগে শুরু হবে।‘

    চলতি বছরের মার্চ মাসেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্বের একটি পথ প্রদান করে যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করেছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে আইনটি পাশ হওয়ার চার বছর পরে মোদী সরকার এটি ক কার্যকর করে। তবে কেন্দ্র নাগরিক সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার সাথে সাথে বিরোধী নেতারা এর সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।

    তবে শুধুমাত্র সিএএ নিয়েই বলেননি অমিতশাঙ। লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র ৪০০ আসন অতিক্রম করার লক্ষ্যের উপরও আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন যে, ‘৪ জুন বেলা সাড়ে বারোটার আগে আমরা দেখব যে এনডিএ ৪০০ আসন অতিক্রম করেছে। আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী।‘

    তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ধাপে ১০০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়ে আমরা তৃতীয় পর্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ৪০০-র টার্গেট অতিক্রম করতে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না।’

    এর পাশাপাশি অমিত শাহ, দিল্লির মদ দুর্নীতি কেলেঙ্কারি নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি মানি লন্ডারিং মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের বিষয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একাধিকবার তলব করার পরও তিনি হাজির ননি। প্রথম তলবের পর তিনি এজেন্সির সামনে হাজির হলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে তাকে গ্রেফতার করা যেত। একাধিকবার সমন পাঠানো সত্ত্বেও তারা আসেননি।’

    বাদ যায়নি কম ভোট দেওয়ার প্রসঙ্গও। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় কম ভোট দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন এর আনেক কারণ রয়েছে। বার বছর পর ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)