মনোনয়ন জমা দেবেন বলে দশ জনকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন নির্দল প্রার্থী। কিন্তু, জেলাশাসকের দফতরে প্রবেশের পর বেঁকে বসেন প্রস্তাবকরা। অভিযোগ, প্রস্তাবক হিসেবে সই করার জন্য ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পরে বেসেছেন সেই প্রস্তাবকেরা। সেই টাকা ফেরত চেয়ে প্রস্তাবকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নির্দল প্রার্থী। এমনই একটি ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।যদিও ওই প্রস্তাবকদের দাবি, তাঁরা বাজনা বাজানোর জন্য এসেছিলেন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন ঘাটালের রঘুনাথচকের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল। ২৫ হাজার টাকা দিয়ে নিয়ম মেনে গত ২৯ এপ্রিল ডিসিআর কেটেছিলেন। এদিকে বাজনা নিয়ে হাজির হন জিতেন দাস। তিনি বাজনা নিয়ে দশজনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। চুক্তি অনুযায়ী বাজনাদারদের খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে।
গোপাল বলেন, 'নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলাম। প্রস্তাবক হিসেবে দশ জনকে সঙ্গে নিয়ে আসি। এর জন্য দশ হাজার টাকা নিয়েছিল। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর এখানে এসে বলছে তাঁরা সই করবেন না। কিন্তু, সঙ্গে ভোটার কার্ড নিয়ে এসেছেন। আমার থেকে দশ হাজার টাকা নিয়েছে। তা ফেরত দিচ্ছে না।'
এদিকে জিতেন নামক ওই প্রস্তাবকের দাবি, 'আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল বাজনা বাজানোর। সেই মতো বাজনা নিয়ে এসেছি। কিন্তু, বাজনা বাজাতে হয়নি। সঙ্গে ভোটার কার্ড আনতে বলেছিল। না হলে ঢুকতে দেবে না বলে জানিয়েছিল। আর সেই জন্যই এনেছি। এখানে এসে বলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সই করতে হবে। আমাদের কাজ বাজনা বাজানোর। তাই টাকা ফেরত দেব না। বাজনা বাজাতে বললে বাজিয়ে দেব।’
গোপাল বলেন, 'আমি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কাজ করি। বাড়িতে পরিবার রয়েছে। আমি এলাকার বাসিন্দা। তাই এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।' উল্লেখ্য, এবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী গত দুই বারের তারকা সাংসদ দেব। তাঁর সামনে BJP প্রার্থী করেছে টলিউডের অপর মুখ হিরণকে। সেক্ষেত্রে দেব এবং হিরণ থাকতে কেন নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার ভাবনা? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে গোপাল বলেন, 'ওঁদের কাউকে এলেকায় পাওয়া যায় না। আমি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাই ভোটে লড়াই করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছি এবং নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি।’