রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। এই নিয়ে এবার প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে সন্দেশ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেখানে এমন কোনও ঘটনা আমি ঘটতে দিইনি। ওদের জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। আমরাই সেগুলো অফিসার পাঠিয়ে সমাধান করে দিয়েছি। আপনি কী করছেন? গতকালও একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত, তাঁর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়! আপনি আমাকে কারও বলে পাঠিয়েছেন, আমার মন্ত্রী কেন আপনাকে এসব বলেছে। শুনে রাখুন, আমার কাছে একটা নয়, হাজারটা ঘটনা এসেছে। কিন্তু, আমি কোনওদিন কিছু বলিনি। কালকের মেয়েটির কান্নায় আমার হৃদয় বিদারণ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন রাজ্যপাল একটি মেয়ে যিনি তাঁর হয়ে কাজ করতেন পরপর দু’বার শ্লীলতাহানি করেছে। আমি ওঁর কান্না দেখলাম। আমার কাছে ভিডিয়ো এসেছে।’ মোদীকে উদ্দেশ্য করে এরপরেই মমতা বলেন, ‘আপনি তো এই নিয়ে কিছু বললেন না? কাল থেকে এলেন। আপনার লোকজনেরাও তো ছিল যখন মেয়েটা কেঁদে বেরোল। বলেছে আর ও রাজভবনে চাকরি করতে যাবে না। ভয় পাচ্ছে। যখন তখন ডেকে খারাপ ব্যবহার করবে, অসম্মান করবে বলে ভয় পাচ্ছে। আর আপনি (নরেন্দ্র মোদী) মা বোনেদের নিয়ে কথা বলেন! লজ্জা করে না। মিথ্যে কথা বলার জন্য মাড়ি থাকা উচিত নয়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সব পঞ্চায়েত আমাদের নয়। পঞ্চায়েতের সব দায়িত্ব আমাদের নয়। খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিই। রাজভবন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এদিন রাজ্যপাল 'ষড়যন্ত্র'-এর দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি একটি অডিয়োবার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এ লড়াই তিনি লড়তে চান।
তিনি বলেন, 'কোনও কিছুতেই আমাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং হিংসা রোখার চেষ্টার পথ থেকে সরানো যাবে না। আরও বড় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এবার যদি বলে ১৯৪৬ সালের কুখ্যাত কলকাতা কিলিংয়ের জন্য আমাকে দায়ী করা হয় আমি অবাক হব না।' সবমিলিয়ে ভোটবঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।