মনোনয়নের সময়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে 'চোর' স্লোগানে তরজা
এই সময় | ০৩ মে ২০২৪
এই সময়, তমলুক: মনোনয়ন পর্বেও উঠল ‘চোর’ স্লোগান। বৃহস্পতিবার তমলুক ও কাঁথি লোকসভা আসনে দুই তৃণমূল প্রার্থী ও কাঁথি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে তমলুকে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বাড়তি লোক আটকাতে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল অফিস চত্বর। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী ও তাঁর বাবা শিশির অধিকারীকে গেটে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই সময়ে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের চোর চোর স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। পুলিশ উভয় দলের সমর্থকদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান দুই তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ও উত্তম বারিক। প্রায় একই সময়ে বাবা শিশির অধিকারী ও দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান কাঁথি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় কর্মী সমর্থকরা ঢোকার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
শিশির অধিকারীকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। বাধা দেওয়াকে ঘিরে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির অভিযোগ, ৪ জনের বেশি লোক নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ঢুকেছেন। অথচ তাঁদের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয়েছে।
ছেলের মনোনয়ন শেষে শিশির অধিকারী বলেন, ‘আমার মতো বয়স্ক মানুষ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আছে কিনা জানি না। আজ বুঝতে পারছি, সেদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।’ রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘রাজনীতিটাকে ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছেন অধিকারী পরিবার। শিশিরবাবু ও তাঁর তিন ছেলে তৃণমূলের টিকিটে এমপি, এমএলএ, মন্ত্রী হয়েছেন। তৃণমূল যদি চোর-ডাকাতের দল হয় তাহলে এতদিন তিনি এই দলে ছিলেন কেন?’