• ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল মথুরাপুর, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি, ঘটনাস্থলে বিধায়ক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মে ২০২৪
  • রাজ্যজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে তাপপ্রবাহ। গরমের জেরে মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। সকলেই প্রার্থনা করছেন বৃষ্টির। বৃষ্টি তোমাকে চাই বলে আওয়াজ তুলেছেন সাধারণ মানুষ। এই প্রবল দাবদাহের মধ্যেই এবার দেখা দিল ক্ষণিকের ঝড়। তাতে আপাতত সেখানে তাপমাত্রা কমলেও লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লক। এখানের বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্যান্য বাড়িও। তাই অনেকেই মে মাসের শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক হতে এখন সময় লাগবে।

    এদিকে গরমের হাত থেকে আপাতত রেহাই মিললেও ঝড়ের দাপটে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন শতাধিক পরিবার। কারণ তাঁদের বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন ঝড় হবে তা আগাম বোঝা যায়নি। বৃষ্টি হওয়ার পরিস্থিতি হয়েছিল। তাই আনন্দেই ছিলেন মানুষজন। তারপর ঠাণ্ডা হাওয়াও দিতে শুরু করে। তখনও এমন হবে বোঝা যায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাপক ঝড় শুরু হয়ে যায়। আর তা যখন থামল তখন দেখা গেল চারিদিক লণ্ডভণ্ড। ভেঙে পড়েছে বাড়ির একাংশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়িঘর। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালেই ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আসেন বিধায়ক।

    আরও পড়ুন:‌ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস, রাজপথে ‘‌ধিক্কার মিছিল’

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে থেকেই আবহাওয়া পাল্টাতে থাকে। হঠাৎ এই পরিবর্তনে অনেকেই চাপে পড়ে যায়। তবে বৃষ্টি বেশি হয়নি। ঝড়ই হয়েছে বেদম জোরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। এই ঝোড়ো হাওয়ায় পরিবেশ খানিকটা ঠাণ্ডা হলেও বিপদ টের পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এখানের নদীর কাছের বাড়িগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। আবার কোনও কোনও বাড়ি ভেঙেও পড়েছে। এই অবস্থায় প্রবল সমস্যায় পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ সকালে ফিরে দেখেন তছনছ হয়ে গিয়েছে সব।

    এই ঘটনা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে অনেকের। এমন ক্ষতি সামলে উঠবেন কেমন করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে আজ, শুক্রবার সাত সকালে অকুস্থলে গিয়ে পৌঁছন রায়দিঘির বিধায়ক ড.‌ অলোক জলদাতা। তিনি দ্রুত ত্রিপল ও কিছু ত্রাণ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়ে সাহায্য করেছেন। তবে এটা সাময়িক সাহায্য। আরও বড় সাহায্য করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারগুলি। সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা বিধায়কের কাছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)