Governor Controversy : পরণে নেই প্যান্ট, ৩ নগ্ন মহিলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় রাজ্যপাল! তোলপাড় ফেলে অন্ধ্রের ঘটনা
এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
বাংলার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। কলকাতা রাজভবনের এক মহিলা কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। এই ঘটনার পর বিবৃতি নিয়ে সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, সত্য ও ন্যায়ের পথে হাঁটেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশের একাধিক রাজ্যের রাজ্যপালেদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে।যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ছিলেন অন্ধ্র প্রদশের প্রাক্তন রাজ্যপাল এন ডি তিওয়ারি। ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালে। অন্ধ্রের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ছবি সহ একটি খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায়, এন ডি তিওয়ারি তিনজন যুবতীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় রয়েছেন। স্তম্ভিত হয়ে যান অন্ধ্রের বাসিন্দারা।
অভিযোগ ওঠে এন ডি তিওয়ারির এই ছবি বিকৃত করা। ছবিতে যে বৃদ্ধকে দেখা যায়, তার পরণে কোনও প্যান্ট ছিল না। তাঁর সঙ্গে যে মহিলাদের দেখা গিয়েছে ছবিতে, তাঁদের শরীরেও কোনও পোশাক ছিল না। এই তিন মহিলার মধ্যে একজন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও রটে যায়। অপর একজন ছিল নাবালিকা। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে মামলাটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই রাজ্যপালের এই যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা। ৮৬ বছর বয়সী এন ডি তিওয়ারি ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা একাধিকবারের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে নাগাড়ে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মিডিয়া কভারেজে ব্র অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইস্তফা দেওয়া ছাড়া তাঁর কাছে আর কোনও উপায় ছিল না।
এরপর ২০১৭ সালে মেঘালয়ের তৎকালীন রাজ্যপাল ভি শনমুগণথনকে ২৬ জানুয়ারি বাধ্যতামূলক পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সে রাজ্যের রাজভবনের এক কর্মচারী যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ডেপুটেশন। রাজভবনে লেডিস ক্লাব চালানোর মতো বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযো তোলেন এক মহিলা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এই মহিলা রাজভবনে কর্মরত বলে জানান। তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে।