স্টক মার্কেট নিয়েও সাইবার প্রতারণা, গায়েব ২ কোটি! নয়া ফাঁদ শহরে
এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
Stock Market নিয়ে জালিয়াতির অন্ত নেই। শহরের বিভিন্ন কোণায় সাইবার অপরাধের শিকার হতে হচ্ছে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভালো মুনাফা লাভের আশায়। প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। খোয়া যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এরকমই এক প্রতারণার শিকার হলেন এক ব্যক্তি। সতর্কবার্তা পুলিশের।বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, এক ব্যক্তিকে প্রথমে একটি ফেসবুক গ্ৰুপে যুক্ত করা হয়। শেয়ার মার্কেট সংক্রান্ত সেই গ্ৰুপে বিভিন্ন তথ্য প্রদান হয়ে থাকে। এর মাঝে তাকে একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করেন ওই ব্যক্তি। সেই অ্যাপের মাধ্যমে এবার শেয়ার কেনা-বেচা চলতে থাকে। প্রাথমিকভাবে, ভালো মুনাফা লাভের আশায় ভালো টাকা বিনিয়োগ করেন সেই ব্যক্তি।
সেই ব্যক্তি অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে একজন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি তাঁকে ওই নির্দিষ্ট অ্যাপের ,মাধ্যমে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর কথামতোই মোটা টাকা বিনিয়োগ করেন সেই ব্যক্তি। প্রথমদিকে, ভালো রিটার্ন পাচ্ছিলেন সেই ব্যক্তি। এরপরেই তিনি আরও লোভে পড়ে যান। এরপর নিজের গচ্ছিত সমস্ত অর্থ তিনি সেখানে সেই অ্যাপের্ মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন। কখনও বিনিয়োগ, কখনও কর প্রদান বা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের ফিজ হিসেবে তিনি প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেন।
এরপরেই একটা সময় এসে তিনি তাঁর বিনিয়োগ করা অর্থ তুলতে অক্ষম হন। সব মিলিয়ে সেই ব্যক্তি ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা খুইয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। FEDICIC & TXICIC নামক একটি অ্যাপ মারফত বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। সেখানেই এত টাকা খুইয়ে বসেন ওই ব্যক্তি। এরপরেই বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ব্যক্তি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ধরণের কোনও প্রতারণার ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য বারংবার নিষেধ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ফোন করে এই ধরণের বেআইনি অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগ, শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার কথা জানানো হলে, সেগুলিকে এড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছে বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশের তরফে। যে কোনও সমস্যায় পড়লে পুলিশের হেল্পডেস্ক নম্বর ৯০৩৮৩৩৩৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে গোটা শহরে। এবার শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার নাম কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হওয়ার ঘটনায় ফের সাইবার সচেতনতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।