• যমজ দুই ভাইয়ের মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরও সমান, অবাক কাণ্ড বীরভূমে
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • জন্মসূত্রে তাঁরা যমজ। একসঙ্গেই বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা দুই ভাইয়ের। যমজ হওয়ায় দুইজনের একাধিক সাদৃশ্য রয়েছে। তবে, মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও যে সেই একই সাযুজ্য মিলবে, এটা কল্পনার বাইরে ছিল। ফল প্রকাশ হতেই সকলে অবাক। বীরভূমের যমজ পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর একই।মহম্মদ মোক্তার নাবিল ও মহম্মদ মোক্তার জাহিন দুই যমজ ভাই। দু'জনের জন্মের সময়ের পার্থক্য মাত্র এক মিনিটের। দুই ভাই দেখতেও হুবহু এক। রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র তারা দুজনেই। আর এই দুই ছাত্রই এবার দিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলাফল প্রকাশ্ হতেই কার্যত চোখ ছানাবড়া হয়েছে অভিভাবক থেকে প্রতিবেশীদের। কারণ জমজ এই দুই ভাইয়ের ঝুলিতে এসেছে যমজ নম্বর। তাদের দু'জনেরই মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭।

    অদ্ভুতভাবে বেশ কয়েকটি বিষয়ে এক নম্বরের পার্থক্য থাকলেও মোট নম্বর মিলে হয়েছে সমান নম্বর। আর দু’জনের নম্বর এক হওয়ায় স্কুলের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে তারা। এই ঘটনাই অবাক করেছে অভিভাবক, প্রতিবেশী থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষকদেরও।

    র‌্যাঙ্ক করবেই, আত্মবিশ্বাসী ছিল মাধ্যমিকে সপ্তম আবৃত্তি

    যমজ সন্তানের মা নবিনা বেগম জানান, দুজনেই ছোট থেকে পড়তে ভালোবাসে। পড়াশোনা করা, ছবি আঁকা, লেখা প্র্যাকটিস করা আর টিউশন যাওয়া দুজনেই একসঙ্গেই করে। ওদের এইরকম ফলাফল হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। তবে দুজনের নম্বর সমান হওয়ায় সেটা আরও অবাক করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

    যদিও, দুইজনের ভবিষৎ পরিকল্পনা ভিন্ন। মহম্মদ মোক্তার জাহিন ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় মহম্মদ মোক্তার নাবিল আবার হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার । আর দুজনেই এই ফলাফলের জন্য খুব খুশি। তাঁদের কথায়, পড়াশোনার জন্য মা-বাবা, দিদি এবং স্কুলের শিক্ষকরা অনেক সাহায্য করেছে। সারাদিনে খুব বেশিক্ষণ না পড়লেও আমরা প্রতিদিন সময়মাফিক পড়তে বসতাম। তাঁদের বিদ্যালয় কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘দুই ভাই পড়াশোনাতে খুব ভালো এবং বুদ্ধিমান। আর তারাই এবছর আমাদের স্কুলের ডবল গৌরব।’
  • Link to this news (এই সময়)