জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বরাবরই কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে 'দুর্জয়' ঘাঁটি! আইপিএলের ইতিহাস বলছে, বিগত ১৬ বছরে এখানে কেকেআর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্য়ে মুম্বই জিতেছে ৯ বার। কেকেআর জিতেছে মাত্র ১ বার। তবে শুক্র সন্ধ্য়ায় আরবসাগরের তীরে শেষ হাসি কেকেআরই হাসল, ব্য়াটারদের ভরাডুবির পর, রাতে বোলাররা করলেন কামাল। বলা ভালো ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার বোলার মিচেল স্টার্ক সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন তাঁর এত দাম! শুরুতে পারফরম্য়ান্স করতে না পারায় সমালোচনার তীর ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। এদিন আবার স্টার্ক বোঝালেন, যে বিশ্বের সেরা বোলারদের নাম উচ্চারিত হলে, তাঁর নামটিও সেই তালিকাতেই রাখতে হবে। ১০ ম্যাচে কেকেআর ১৪ পয়েন্ট তুলে প্লে-অফের পথ প্রশস্ত করল বলাই যায়। তবে এখনই নিশ্চিত লেখার সময়ে আসেনি।এদিন টস হেরে শ্রেয়স আইয়াররা ব্য়াট করতে নেমেছিলেন। মুম্বইয়ের পেসার নুয়ান থুসারা শুরুতেই তিন উইকেট তুলে কেকেআর ব্য়াটিং লাইন-আপ কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। মাত্র সাত ওভারের মধ্য়ে কেকেআরের পাঁচ উইকেট চলে গিয়েছিল। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল যে, কেকেআর ১০০ রান তুলতে পারবে তো! তবে ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৫২ বলে ৭০) ও মণীশ পাণ্ডে (৩১ বলে ৪২) যদি না রুখে দাঁড়াতেন তাহলে কেকেআরের অবস্থা অত্য়ন্ত শোচনীয় হত। কারণ এদিন কেকেআরের আটজন ব্য়াটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি! অঙ্গকৃশ রঘুবংশী দুই ডিজিট দেখেছেন বটে, তবে তাঁর রান ১৩! ভেঙ্কটেশ-মণীশের কাঁধে ভর করে নাইটরা ১৬৯ রান তুলতে পেরেছিল ২০ ওভারে। এবারের আইপিএলে ২৫০ প্লাস রান করে যেখানে স্বস্তিতে থাকতে পারছে না প্রথমে ব্য়াট করা টিম, সেখানে নাইটরা ১৬৯ করে কী আর জয়ের স্বপ্ন দেখবেন! এমনটাই ভাবছিলেন কেকেআর ফ্য়ানরা। কিন্তু একেবারে অন্য় পরিকল্পনাই ছকেছিলেন নাইট বোলাররা। মুম্বইয়ের হেভিওয়েট ব্য়াটিং লাইন-আপকেও মাটি ধরিয়ে দিলেন স্টাক ও তাঁর বোলিং ব্রিগেড। ১১ ওভারে ৭০ রান তুলতে গিয়ে মুম্বই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এই পাঁচ পতনের শুরুটা হয়েছিল অজি তারকা পেসারের হাত ধরেই। বাকি চারের মধ্য়ে বরুণ চক্রবর্তীর দুই, আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিন নেন একটি করে। যদিও চারে নেমে সূর্যকুমার যাদব তাণ্ডবলীলা শুরু করেছিলেন। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল যে ম্য়াচ মনে হয় বার করেই আনবেন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা সূর্যকে ৩৫ বলে ৫৬ রান করেই ফিরে যেতে হয়। রাসেল তুলে নেন তাঁর উইকেট। আটে নেমে টিম ডেভিড আশা দেখিয়ে ছিলেন কিছুটা। ২০ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তবে তাঁকে স্টার্ক ফিরিয়ে দেন ডাগআউটে। এরপরেও স্টার্ক থামেননি। তুলে নেন আরও দুই উইকেট। কেকেআর জিতে যায় ২৪ রানে। মুম্বইকে থামতে হয়েছে ১৪৫ রানে।