• হিটওয়েভে স্কুলের সময় পরিবর্তন? শিক্ষা দফতরকে আর্জি জেলা শাসকের
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • গরম কমার কোনও লক্ষ্ণণ নেই। বৈশাখ মাস শেষ হতে চললেও কালবৈশাখীর লক্ষ্মণ নেই। দেশের একাংশ মানুষ বৃষ্টির অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করতেই করতেই হাঁপিয়ে উঠেছে। এর মধ্যে পড়ুাদের বিশেষ ক্লাস চলছে। সকালেরই দিকে ক্লাস হলেও রক্ষে নেই। এই আবহে

    সরকারি স্কুল, বেসরকারি স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, মাদ্রাসা ইত্যাদির মতো একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের সময় পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছ।কথা হচ্ছে বিহারের। বিহারের দ্বারভাঙা জেলা শাসক গ্রীষ্মের ছুটিতে স্কুলগুলিতে পরিচালিত বিশেষ ক্লাসের সময়কাল কমানোর অনুমতি চেয়ে শিক্ষার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কেকে পাঠককে একটি চিঠি লিখেছেন। দ্বারভাঙা জেলা ম্য়াজিস্ট্রেটের তরফে স্কুলগুলিতে সকাল ৯টা পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ক্লাসের সময় নির্ধারিত করার অনুরোধে চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠিতে জেলা শাসকের অনুরোধ সরকারি স্কুলে পরিচালিত বিশেষ ক্লাস এবং 'মিশন সাউথের' ক্লাসগুলি সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে করে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসা, প্রি-স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, কোচিং সেন্টারের মতো বেসরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সকাল ৯টা পর্যন্ত ক্লাসের অনুমতি চেয়েছেন তিনি।

    দ্বারভাহা জেলা শাসক শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য় সচিবকে লেখা চিঠিতে দ্বারভাঙা জেলায় তীব্র তাপ ও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির উল্লেখ করে বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছন। আবহাওয়া দফতরও এই আবহে সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দফতরেরও সতর্কতা প্রবল তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে জেলার সমস্ত সরকারি স্কুল, বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা, সংস্কৃত স্কুল, প্রি-স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং কোচিং সেন্টারগুলিতে সমস্ত শিক্ষামূলক কার্যক্রমের সময় পরিবর্তন করা উচিত।

    ১৫ এপ্রিল তেকে ১৫ মে পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি

    বিহারের সরকারি স্কুলগুলিতে ১৫ এপ্রিল ১৫ মে পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তবে গরমের ছুটিতেও বিহারের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে চলছে বিশেষ ক্লাস। IAS তথা শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের নির্দেশে চলছে এই বিশেষ ক্লাস। শিক্ষকদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি একপ্রকার বাতিল করেই পড়াশোনায় দুর্বল পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে হচ্ছে তাঁদের। সকাল থেকে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলছে বিশেষ ক্লাস। এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষককে নূন্যতম পাঁচ জন শিশুকে পড়াতেই হবে। শিশুকে মিড ডে মিলও খাওয়াতে হবে। তবে গরমের বিষয়টি বিবেচনা করে বিশেষ ক্লাস এক ঘণ্টা এগিয়ে আনার অনুরোধ করা হয়েছে যাতে এক ঘণ্টা আগে ক্লাসও শেষ করা যায়।
  • Link to this news (এই সময়)