সাতসকালে রাজারহাটের বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪ ইঞ্জিন
এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
সাতসকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কৈখালিতে। চারতলার বহুতলে এদিন সকালে আচমকায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। জানা যাচ্ছে, কৈখালির দশদ্রোণ এলাকায় চারতলার বসত বাড়িতে এদিন আগুন লাগে। চারতলার উপরে রয়েছে একটি গেঞ্জি কারখানা। সেই গেঞ্জি কারখানাতেই আগুন লাগে এদিন। এদিকে উচ্চতার জন্যে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দমকল বাহিনীকে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দ্রুত ওই বহুতলে থাকা বাসিন্দাদের নীচে বার করা হয়েছে। কারখানায় সেই সময় কেউ ছিলেন কিনা জানা যায়নি।প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই আগুন লেগেছে। বিস্তারিত কারণ খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে কী ভাবে বসত বাড়ির উপর কারখানা চলছিল? আদৌ কি তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল? সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা আচমকাই ওই বাড়ির ভেতর থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী নির্গত হতে দেখেন। তৎক্ষনাৎ দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল দফতরের তরফে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, 'গেঞ্জির কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সেখানে সকালে আগুন লাগে। ভেতরে কেউ ছিল কিনা জানা নেই। তবে বিল্ডিংয়ের বাইরে সকলকে বার করে নিয়ে আসা হয়। এখন আগুন নেভানোর কাজ চলছে।'
দমকলের তৎপরতায় কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ ওই কারখানার লাইসেন্স ছিল তো? বসত বাড়িতে কী ভাবে এই কারখানা চলছিল? সেখানে আদৌ অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল তো? এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী ভাবে এই আগুন লাগে? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুন লাগে। তবে বিস্তারিত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই গেঞ্জি কারখানায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে তা যেন বহুতলের সংশ্লিষ্ট ফ্লোরেই সীমাবদ্ধ থাকে সেই জন্য চেষ্টা করে দমকল। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। পরে তাদের যোগ দেয় আরও দুটি ইঞ্জিন। জানা যাচ্ছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখনও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে করা হচ্ছে বিস্তারিত তদন্ত। সেই তদন্তের পরেই আগুন লাগার সঠিক কারণ বলা সম্ভব বলে জানানো হচ্ছে।