• শ্লীলতাহানি করেছেন রাজ্যপাল' রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে চিঠি কলকাতা পুলিসের!
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ মে ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগের তদন্তে রাজভবনকে চিঠি পাঠাল কলকাতা পুলিস। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজভবনের ওসির মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে এই চিঠি। চিঠিতে EPBX অফিসের এন্ট্রি ও রাজ্যপালের চেম্বারের সামনের করিডরের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কোন সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ, তাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে ইতিমধ্যেই ৮ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে এই ৮ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সম্ভাব্য কয়েকজন সাক্ষীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি হয়েছে। লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, যা যা করণীয় সব কিছু করা হবে। গতকালই লালবাজারের অফিসাররা রাজভবনে গিয়ে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের কাজ করেছেন। অভিযোগকারিণী মহিলার সঙ্গেও কথা বলেছেন। লালবাজারের এক কর্তা জানান, "আমরা আমাদের লিগাল টিমের সঙ্গে কথা বলে, পরামর্শ নিয়ে যা করণীয় তা করছি।" 

    ওদিকে এই ঘটনায় গতকাল পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চাঁছাছোলা ভাষায় তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা বলেন, "সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন? আর আপনি কী করছেন? একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনের পিবিএক্স-এ চাকরি করত! তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন? আমার কাছে একটা নয়, হাজারটা ঘটনা এসেছে। কিন্তু আমি কোনওদিন কোনও কথা বলিনি। কিন্তু কালকের মেয়েটির কান্না আমার হৃদয় বিদারক হয়েছে।"  তোপ দাগেন, "রাজ্যপাল তাঁর কাজের মেয়েকে.... মেদিনীপুর পূর্বের একটি মেয়েকে... একবার নয়, পর পর দুবার শ্লীলতাহানি করেছেন। আমি তাঁর কান্না দেখেছি। আমার কাছে ভিডিয়ো এসেছে। আমি পুরো মন দিয়ে দেখেছি। মেয়েটি যখন কেঁদে বেরচ্ছিল, তখন আপনার লোকজনেরাও ছিল। মেয়েটি বলেছে, আর আমি রাজভবনে চাকরি করতে যাব না। ভয় পাচ্ছে। যখন তখন ডেকে খারাপ ব্যবহার করবে। অসম্মান করবে। আপনি মা-বোনেদের নিয়ে কথা বলেন? আপনার লজ্জা নেই? আপনার দাঁতের পাটিটাই খুলে যাওয়া উচিত! মাড়ি-ই থাকা উচিত না দাঁতের!"বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন রাজভবনেই কর্মরত এক মহিলা। রাজভবনে যে পিসরুমের পিবিএক্স-এ কাজ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল তাঁকে বিভিন্নভাবে কু-ইঙ্গিত করেন। নিজের চেম্বারে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি দেওয়ার নামে রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। তাঁকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শও করেন। ওই মহিলার আরও দাবি, কয়েক মাস আগে এক নৃত্যশিল্পীকেও তিনি শ্লীলতাহানি করেন। যদিও এসবই তাঁকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা বলে পালটা দাবি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। তিনি দাবি করেছেন, 'মাথা নত করব না, সত্যের জয় হবেই।'
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)