সন্দেশখালির এক বিজেপি নেতার ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণের অভিযোগ ‘সাজানো’ ঘটনা। অর্থের বিনিময়ে পরিকল্পিত করে সেটি করা হয়েছে বলে তথ্য উঠে আসছে সেই ভিডিয়োয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপি নেতার সেই ভাইরাল ভিডিয়ো ( যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) শেয়ার করে ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বলেন, ‘সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো দেখে আমি হতবাক। প্রত্যেক নাগরিককে বাংলা বিরোধীদের এই ঘটনার সাক্ষী হতে হবে। বিজেপি তাদের তুচ্ছ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্য রাজ্যকে বদনাম করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা করেছে।’
পুরো বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালির মহিলা অত্যাচারের অভিযোগ ‘পরিকল্পিত’ করে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই ঘৃণ্য কাজটি ইতিহাসে ক্ষমতার সবচেয়ে বড় অপব্যবহারের প্রতীক। লজ্জা!’
তৃণমূল কংগ্রেসের নিজস্ব এক্স হ্যান্ডেল থেকেও এই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। তৃণমূলের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। তৃণমূলের বক্তব্য, ‘ আজ একটি ভাইরাল ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে, কীভাবে বিজেপি বাংলাকে অপমান করতে কোন কসরত বাকি রাখেনি। গণধর্ষণ থেকে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা পর্যন্ত প্রতিটি বিষয় সাজানো, সেটার জন্য দায়ী শুভেন্দু অধিকারী। জনগণ ক্ষমা করবে না এই বাংলা-বিরধীদের। বাংলার মা-বোনেরা এর প্রতিশোধ নেবে!’
Sandeshkhali Case: 'অস্ত্র কার?' শাহজাহানকে কোর্টে পেশের পথে উঠল প্রশ্ন
যদিও, গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে কোনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত চলে। একাধিক মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। মহিলারা তাঁর সম্মান নিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারেন না। সমাজে মানুষ ইটা বিশ্বাস করবেন না বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
তবে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, ‘বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন শুভেন্দুর পরিকল্পনা মতো সন্দেশখালিতে সব ঘটনা দেখানো হয়েছে। ৭/৮ মাস আগের যাতে ডাক্তার না ধরতে পারে আদৌ ধর্ষণ হয়েছিল কিনা ! এবং পুরোটাই ছিল শুভেন্দুর পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, টাকা, মোবাইল দিয়ে রাজ্যকে বদনাম করতে হবে এটাই ছিল নির্দেশ।’