• Kazakhstan News: রেস্তরাঁর মধ্যে নৃশংস অত্যাচারে স্ত্রীকে হত্যা! এই দেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর কুর্কীর্তির পর্দাফাঁস
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • আরও একটি অবাক করা কাণ্ড সামনে এসেছে। যা শউনে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির একটি রেস্টুরেন্টে সেদেশেরই এক প্রাক্তন মন্ত্রী কুয়ানডিক বিশিমবায়েভের স্ত্রী সালতানাত নুকেনোভার দেহ পাওয়া যায়।রেস্তোরাঁটি ছিল মন্ত্রী বিশিমবায়েভের এক আত্মীয়ের মালিকানাধীন ওই মন্ত্রীর স্ত্রী মারা যাওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী সেখানে একদিন সময় কাটিয়েছিলেন বলে জানতে পারা গিয়েছিল।

    হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এক মামলার শুনানিতে সম্প্রতি সালতানাতকে তাঁর স্বামীর আট ঘণ্টার দীর্ঘ মারধরের এক ভিডিয়ো দেখানো হয়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, ৪৪ বছর বয়সী প্রাক্তন কাজাখ অর্থমন্ত্রী বিশিমবায়েভ তাঁর ৩১ বছর বয়সি স্ত্রীকে একটানা আট ঘণ্টা ধরে বার বার লাথি এবং ঘুষি মারছেন। এমনকি ভিডিয়োতে স্ত্রীকে চুল ধরে টেনে নিয়ে একটি আলাদা রুমে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    বিশিমবায়েভের বিরুদ্ধে চরম সহিংসতার পাশাপাসি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

    দুর্নীতির দায়ে ২০১৭ সালে বিশিমবায়েভকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই সময় তাঁর ১০ বছরের সাজা হয়েছিল। তবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবয়েভের প্রিয় হওয়ায় সাধারণ ক্ষমা চেয়ে তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

    প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে সালতানাতের রক্তমাখা দেহ মাটিতে পড়েছিল। পরে চিকিৎসক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে মৃত্যু হয় সালতানাতের। তাঁরনাক, মুখ, মাথা, হাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর নাকের একটি হাড়ও ভেঙে যায়।

    শুনানিতে প্রসিকিউটর বলেন, ‘সালতানাত টয়লেটে লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিশিমবায়েভ তাঁকে দরজা ভেঙে গলা চেপে বের করে আনেন এবং লাগাতার মারধর করতে থাকেন। এই সময় সালতানাত অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।‘

    এই হত্যাকাণ্ডের প্রভাব কাজাখস্তান ছাড়াও রাশিয়া এবং তার বাইরেো ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে প্রথাগত লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ এবং বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।

    জনরোষের মধ্যে দেশটির প্রসিডেন্ট কাসিম জোমার্ত তোকায়েভ ১৫ এপ্রিল একটি নতুন আইনে সাক্ষর করেছেন, যাতে নারী ও শিশুদেরকে আঘাত করাকে ফৌজগারি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে কারাবাসের শাস্তির বিধান রাখা হয়। এই আইন স্বামী-স্ত্রী নির্যতনের আইনকে কঠোর করার অনুমোদন দেয়।
  • Link to this news (এই সময়)