রাজনৈতিক উত্তেজনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদও। গরম কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। দেশের একাংশে নাগাড়ে বৃষ্টিতে জল থইথই অবস্থা আর অন্য়দিকে জ্বালাপোড়া গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে। এই আবহেই ভোট চলছে দেশে। দুই দফার ভোট ইতিমধ্যেই মিটেছে। তৃতীয় দফায় ভোট ৭ মে। তীব্র গরমেই বুথমুখী হচ্ছেন ভোটাররা। গরমের জন্য এবার ভোটদানের হারও খানিকটা কমেছে। ভোটারদের বুথমুখী করতে এবার নয়া উদ্যোগ।এবার ভোটারদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টায় দিল্লির বুথে বুথে বসবে এয়ার কুলার, বড় ফ্যান, ছাউনি দেওয়া বিশ্রামের জায়গা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার, ৭ মে তৃতীয় দফার ভোট রয়েছে দেশে। আর ওই দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। শুধু তৃতীয় দফা ভোটের দিন নয়, মে মাস জুড়ে যে ক'দিন ভোট রয়েছে সেই ক'দিনই তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস মিলেছে আবহাওয়ার দফতরের তরফে। এমতাবস্থায় ভোটারদের কষ্ট লাঘবে কী কী ব্য়বস্থা করা যায় তা নিয়ে মূলত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) পি কৃষ্ণমূর্তি। শহরজুড়ে ভোটাররা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তার জন্য় একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রবল গরমের জন্য অনেকেই ভোট দিতে যাচ্ছেন না। কারণ বেশির ভাগ বুথে পৌঁছে চাঁদি ফাটা গরমের মধ্য়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে চরম গরমে বুথের ধারেকাছে ঘেঁষেতে চাইছেন না অনেকে। মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে ও তাঁদের কষ্ট লাঘব করে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই IMD মে মাসে ভোটের দিনগুলিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। আর তারপরেই মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার এই বৈঠকের আয়োজন করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনবিভিন্ন স্টেকহোল্ডার বিভাগ যেমন দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস, দিল্লি জল বোর্ড, এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর। সিইও কৃষ্ণমূর্তি সব প্রতিনিধিদের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার সময় প্রত্যাশিত তাপপ্রবাহের কারণে অস্বস্তি বোধ না করেন তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে ভোটের দিন নির্বিঘ্নে ভোটদান প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে দিল্লির প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে পানীয় জলের সুবিধা, এয়ার কুলার, বড় ফ্যান, ছাউনি দেওয়া বিশ্রামের জায়গায়, এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক স্থানীয় সংস্থা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে ভোটের দিন দিল্লিতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ওআরএস সহ প্রয়োজনীয় ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ২,৬২৭টি জায়গায় প্রায় ১৩,৬৩৭টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এক লাখের বেশি কর্মীকে কাজে মোতায়েন করছেন। ভোটদান প্রক্রিয়ার সাধারণ নাগরিকদের আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ ভাবে সক্ষম ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পিক-অ্যান্ড-ড্রপ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। স্টেকহোল্ডার প্রতিনিধিরা সিইওকে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা প্রদান করবেন তাঁরা। দিল্লিতে ষষ্ঠ ধাপে অর্থাৎ ২৫ মে ভোট রয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা।