• বরফ গলল? ডেরেকের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল গাইলেন,'আহা কী আনন্দ...'
    Aajtak | ০৪ মে ২০২৪
  • প্রায় একঘণ্টার বৈঠক, তারপরই সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের বাড়ি থেকে হাসিমুখে বেরোলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। গাইলেন, 'আহা কী আনন্দ আকাশে, বাতাসে।' রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই পাহাড় সমান জমে থাকা অভিমানের বরফ যেন আজ গলল! গত বুধবার তাপস রায়ের প্রশংসার পর দলের তরফে তাঁকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানো হয়। এই নিয়ে দিন দুয়েক জল  অনেক দূর গড়ায়। কুণাল-তৃণমূল তরজা তুঙ্গে ওঠে।

    আজ অর্থাৎ শনিবার বেলা সাড়ে বারোটার খানিক পরে ডেরেকের বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয় তিনজনের। এরপরই অভিমানের বরফ যেন গলে জল।

    সাংবাদিকদের কুণাল বলেন, "আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বারবার বলেছি আমি তৃণমূলেই থাকব। বিশিষ্ট নেতা-মন্ত্রী ব্রাত্যের সঙ্গে এসেছিলাম। বাকি কোনও কথার উত্তর এখন দেব না। এ বিষয়ে আগে উত্তর দিয়েছি। একটু সময় দিন, দেখা যাবে। 

    তিনি আরও বলেন, "আমি তৃণমূলের গর্বিত সদস্য। দলে কিছু আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বলব না। পদ-টদ সব গৌন। আস্থা, ভালোবাসা বড় কথা। কিছু আলোচনার বিষয় থাকে তা হয়েছে। দল প্রচারে পাঠালে আমি কেন যাব না? আমার কাছে কিছু জায়গায় যাওয়ার আমন্ত্রণ এসেছে।" এরপরই গান ধরলেন, 'আহা কী আনন্দ গাইলেন।' 

    কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে প্রসঙ্গে ব্রাত্য এদিন বলেন, "আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে এসেছি। একটু সময় দিন, দেখুন। আমায় ডাকা হয়েছে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নেতৃত্বে আমরা একটা পরিবার। অন্য জেলায় কিছু প্ল্যান আছে তা নিয়ে কী বলতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"

    প্রসঙ্গত, একটি রক্তদান শিবিরে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন কুণাল। তিনি তাপসের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে ফের দলীয় প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন কুণাল। এর আগেও তাঁর মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
  • Link to this news (Aajtak)