জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: "আমি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম, আছি এবং থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমার নেতা। তৃণমূল একটা পরিবার। আমার পদ থাক না থাক, আমি কর্মী সমর্থক হয়ে তৃণমূলেই থাকব। বিশিষ্ট মন্ত্রী এবং ব্যক্তিগতভাবে বন্ধু ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আমাদের দলের আরেক নেতা ডেরেক ও' ব্রায়েনের কাছে এসেছিলাম। কিছু কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত বলতে চাই না।" ডেরেক ও' ব্রায়েনের বাড়িতে ব্রাত্য-কুণাল-ডেরেক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন কুণাল ঘোষ। সেইসঙ্গে এদিন গাইলেন, 'বৈঠকের পর আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। শাখে শাখে পাখি ডাকে, কত শোভা চারিপাশে।'রক্তদান অনুষ্ঠানে তাপস রায়ের সঙ্গে একমঞ্চে। সেই মঞ্চেই তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা। ওদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে ক্ষোভের কথাবার্তা প্রকাশ্যে বলা। আর এসবের মধ্যেই দলের মুখপাত্রের পদ থেকে কুণাল ঘোষের অপসারণ। সব মিলিয়ে কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে বিতর্ক যেন বেড়েই চলছিল। নির্বাচনের মধ্যে তাই তৃণমূলে বাড়ছিল কুণাল-অস্বস্তি! ভোটের সময় সেই অস্বস্তি কাটাতেই আজ ডেরেক ও' ব্রায়েনের বাড়িতে জরুরি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, মমতা-অভিষেকের জরুরি নির্দেশেই এই বৈঠক হয়। যদিও বৈঠকে কী কথা হয়েছে, বরফ গলেছে কি না, সমস্যা মিটেছে কি না, সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি ব্রাত্য বসুও। ব্রাত্য বসু বলেন, "আমরা তৃণমূলের লোক আরেকজন তৃণমূলের লোকের বাড়ি এসেছিলাম নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে। এর মধ্যে অস্বাভাবিকতার কো কিছু নেই। আর কী কথা হল, তা আমি বাইরে বলব না। এটা আমাদের ভিতরের কথাবার্তা। আর আমি তো সমস্যা বলে কিছু জানি না! কীসের সমস্যা? একটা অস্ত্রোপচার হলে যদি লিউকোপ্লাস্ট লাগানো হয়, সেটা ঠিক হতে তো কিছু সময় দিতে হবে।"প্রসঙ্গত, পদ থেকে অপসারণের পরই কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, "আমরা ৪২-এ ৪২ টার্গেট করে এগোচ্ছি। কে কী ব্যবস্থা নিল... আমি যদি আমার মন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি, কেউ আমার সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। আপনারা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ থাকলাম। আমি মনে রাখব। জেলা থেকে যাঁরা ফোন করছেন, আমি একই কথা বলেছি। এই লড়াইটা কর্মীদের অপমান করা যাবে না, পদ নয় পথে আছি।"