?দুঃখ? মিটল কি? ডেরেকের অফিসে বৈঠক শেষে কী বললেন কুণাল?
প্রতিদিন | ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রাত্য বসুর ?মধ্যস্থতা?য় বৈঠক! শনিবার দুপুরে ডেরেক ও ব্রায়েনের বেকবাগানের দপ্তরে আধঘণ্টার বৈঠকে ছিলেন ?অভিমানী? কুণাল ঘোষ (Kunal Ghsoh)। তাতে কি ?বরফ গলল?? ?দুঃখ? মিটল? ?তাৎপর্যপূর্ণ? আলোচনা সেরে বেরিয়ে ?অভিমানী? কুণাল ঘোষের গলায় আবার গানের সুর। শোনালেন, ?আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে।? সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ?তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।? যদিও ?মধ্যস্থতা?র কথা মানতে রাজি হননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র ব্রাত্য বসু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ?কিছু আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে কী হয়েছে তা মিডিয়ার সামনে বলব না। তবে বাকিটা কী হয়, দেখতে থাকুন।? প্রশ্ন করা হয়েছিল, আলোচনায় কি তাঁর অভিমান মিটেছে? কুণালের ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর, ?এভাবে হ্যাঁ বা না-তে কিছু বলা যায় না। ক্ষতস্থানের চিকিৎসা শুরু হলেই বোঝা যায় না আঘাত সেরেছে কিনা।? দলে হারানো পদ ফিরে পাবেন? ?পদ গৌণ, ভালবাসাটাই মূল?, দাবি তাঁর।
যদিও ব্রাত্য বসুর মধ্যস্থতায় কুণালকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা মানতে নারাজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। বরং তাঁর দাবি, ?আমি একটা তৃণমূলের লোক, আরেকটা তৃণমূলের লোককে নিয়ে আরেকজন তৃণমূলের লোকের বাড়িতে এসেছিলাম। এটা নিয়ে এতো হাইপের কি আছে? ভোটের রণনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। সব তো প্রকাশ্যে বলা যায় না।?
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। তিনি বলেন, প্রার্থী বা জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) থেকে পিছিয়ে নেই তাপস। তাঁর দরজা সারা দিন, সারা রাত দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে। ঘটনাচক্রে সেই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানোর কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ পড়েন। পদ এবং তারকা প্রচারকের তকমা হারানোর পর থেকে বারবার অতীতের স্মৃতি হাতড়েছেন কুণাল। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকালে তাঁকে গান গাইতে শোনা যায়। ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির ‘এক যে ছিল রাজা’ গান তিনি। পদহারা কুণালের কণ্ঠে এই গান যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলছে রাজনৈতিক কারবারিরা।
এদিন সকালে X হ্যান্ডেলে একটি ছবিও পোস্ট করেন কুণাল। ওই ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষ পাশাপাশি বসে রয়েছেন। ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “পুরোনো সেই দিনের কথা। তখনও @AITCofficial সরকারে আসেনি। একটা সুন্দর মুহূর্ত।” এর পরই ব্রাত্য বসুর গাড়িতে চেপে ডেরেকের বাড়ি যান কুণাল।