অভিরূপ দাস: বাইরে তীব্র দাবদাহ। ঘনঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মুশকিলে পড়ছে আমজনতা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে সিইএসসিকে চিঠি দিচ্ছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিগত এক সপ্তাহ ধরে তিলোত্তমায় ঘনঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় নাভিশ্বাস উঠছে কলকাতাবাসীর। কোথাও কারেন্ট থাকলেও ভোল্টেজ এতটাই কম টিউব জ্বলছে নাইটল্যাম্পের মতো। ফ্যান ঘুরছে হাত পাখার মতো। এরই মধ্যে বাংলা জুরে সাত দফায় লোকসভা ভোট চলছে। প্রচারে বেরিয়ে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। সেখানেই এ নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।
সম্প্রতি কৃতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সম্বর্ধনা দিতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষকে নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন গাঙ্গুলিবাগান-পাটুলির বাসিন্দারা। দেখা যায়, কিছু বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে কিন্তু হাত পাখার থেকেও আস্তে ঘুরছে সিলিং ফ্যান। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন ভিউ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জলের পাম্প চলছে না।
এরপরেই সিইএসসিকে চিঠি দিয়েছেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। চিঠিতে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিইএসসি-কে জানিয়েছেন, দ্রুত এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সিইএসসি-র পোল মাউন্টেড ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মার লাগাতে হবে। বাপ্পাদিত্যর বক্তব্য, বাইরে তীব্র গরম। তার মধ্যে ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে আমজনতা। দেখা যাচ্ছে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলেও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না সিইএসসি-র কাস্টমার সাপোর্ট টিমের। এমতাবস্থায় মানুষকে সমাধান দিতে সিইএসসি-কে ব্যবস্থা নিতেই হবে। বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত চিঠিতে সিইএসসি-কে আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে যেভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে তা এড়াতে এই মুহূর্তে ছ’টা পোল মাউন্টেড ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মার লাগাতে হবে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে।
সূত্রের খবর, গত রবিবার দক্ষিণ শহরতলীর বাঘাযতীনে ভোল্টেজের অবস্থা এমনই ছিল পুরসভার বিগ ডায়ামিটার পাম্প চালানো যায়নি। যে কারণে জল পেতেও সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের হয়ে তাই সিইএসসিকে চিঠি দিচ্ছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কাউন্সিলররা এদিন মেয়রকে বলেন, আমরা জল আলো রাস্তার সমস্যা সমাধান করি। তাও সিইএসসির ভুলের দায় আমাদের ঘাড়ে চাপছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।