• বেআইনি বাড়ি ভাঙতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গড়ার নির্দেশ পুলিশকে
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • এই সময়: শহরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে এ বার কলকাতা পুলিশকে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গড়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বেআইনি বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত এক মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ টাস্ক ফোর্স গড়ার নির্দেশ দিয়ে বলে, আর একটা গার্ডেনরিচ হতে দেওয়া যাবে না।হাইকোর্টের নির্দেশ, যে-সব বাড়ির আংশিক নির্মাণ ভাঙা হয়েছে, অথচ সেখানে বাসিন্দারা বসবাস করছেন বা বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশের পরেও যাঁরা দখল করে রয়েছেন, জায়গা ছাড়ছেন না--সে-সব ক্ষেত্রে পুলিশকে টাস্ক ফোর্স গড়ে পুরসভার সাহায্য নিয়ে ওই নির্মাণগুলি থেকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে।

    তার পর পুরসভার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৪টি বেআইনি বাড়ি ভাঙতে হবে। যদি কেউ বাড়ি ছাড়তে না চান বা কাজে বাধা দেন, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে। পুরকর্মীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে টাস্ক ফোর্সকে। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় এ দিন পুরসভা একটি রিপোর্ট জমা দেয়। রিপোর্টে জানানো হয়, কয়েকটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন পুরকর্মীরা।

    আবার কিছু ক্ষেত্রে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ১৪টি এমন নির্মাণ শনাক্ত করা হয়েছে যেগুলির কিছু অংশ ভেঙে দেওয়ার পরেও তা পুনর্নির্মাণ করে ফের বসবাস করছেন লোকজন। পুরসভার আইনজীবী অলোক ঘোষ ও শুভ্রাংশু পান্ডা আদালতে বলেন, বেশ কিছু বাড়িতে নোটিশ গেলেও বেআইনি বাড়ি দখল করে রয়েছেন বাসিন্দারা।

    আর সেই কারণে বাড়ি ভেঙে ফেলতে সমস্যা হচ্ছে। আংশিক ভেঙে দেওয়া বাড়িও নতুন করে সারিয়ে নেওয়ার ঘটনা পুরসভার নজরে এসেছে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কোনও বেআইনি নির্মাণ নিজেদের দখলে রাখতে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালা অনেক সময়ে ষড়যন্ত্র করে নিম্ন আদালতে সিভিল স্যুট ফাইল করে ইনজাংশন নিয়ে আসছেন। ফলে সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙা যাচ্ছে না।

    এই ভাবে আইনি জটিলতা তৈরি করে বাড়ি আর দখলে রাখা যাবে না। এখন থেকে নিম্ন আদালতে বেআইনি বাড়ি সংক্রান্ত কোনও মামলা দায়ের হলেই তা জানাতে হবে হাইকোর্টে। গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যুর পরে হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আবেদন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও অবশ্য কোনও নির্দেশ দেয়নি।
  • Link to this news (এই সময়)