‘কী হয় দেখতে থাকুন!’ কুণালের কামব্যাক শীঘ্রই? ডেরেক-ব্রাত্যর সঙ্গে বৈঠক
এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
তাহলে কি কুণাল ঘোষের কামব্যাক হতে চলেছে? দলীয় পদ ফিরে পেতে চলেছেন তিনি? শনিবার সেই জল্পনা উঠে এল একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করলেন কুণাল ঘোষ। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।শনিবার দুপুরে বেকবাগানে ডেরেক ও’ব্রায়েনের অফিসে উপস্থিত হন কুণাল ঘোষ। জানা গিয়েছে, কুণাল ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হন ব্রাত্য বসুও। এরপর বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানে কী আলোচনা হয়, সেটা অবশ্য বলতে চাননি তৃণমূলের কোনও নেতাই। তবে বৈঠক নিয়ে কুণাল বলেন, ‘তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব। কিছু আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে কী হয়েছে তা মিডিয়ার সামনে বলব না। বাকিটা কী হয়, দেখতে থাকুন।’
প্রথমে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, পরে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, পরপর কয়েকটি ঘটনাপ্রবাহে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠেন কুণাল ঘোষ। এমনকি, দলের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা আবেগতাড়িত হতেও দেখা যায় তাঁকে। যদিও, অন্য কোনও দলে যোগদানের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। দলের কর্মী হয়েও কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
তবে, ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়ে যায় শুক্রবার থেকেই। কুণাল ঘোষের বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসেন তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনিই এদিন কুণাল ঘোষকে সঙ্গে করে ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
Kunal Ghosh : 'আমি সাধারণ কর্মী, থেকে যাওয়ার চেষ্টা করব' প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের
প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষকে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কারের যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল ডেরেক ও ব্রায়েনের। যদিও, বিষয়টি নিয়ে কুণাল আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি ওই পদ থেকে আগেই ইস্তফা দেওয়ার বিষয় দলকে জানিয়েছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত উত্তর কলকাতায় একটি রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সদ্য তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কুণাল ঘোষও। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাপস রায়কে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করতে শোনা যায় কুণাল ঘোষকে। সেখানে কুণাল তাপস রায়কে ‘তাপসদা ভাল জনপ্রতিনিধি’ বলেও অভিহিত করেন। বিজেপি প্রার্থীর সম্বন্ধে এই মন্তব্য করে দলের মধ্যেই অস্বস্তি শুরু হয়। তাঁকে রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর সাংবাদিক বৈঠক করেও একাধিক ‘অস্বস্তিকর’ মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। এবার কি তাহলে মধুরেণ সমাপয়েৎ?