• Online Fruad: 'ব্যাঙ্কের মেসেজের স্ক্রিনশটেই' লুকিয়ে বিপদ! ফাঁদে পা দিলেই খোয়াবেন সর্বস্ব লুট
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • নিত্যনতুন প্রতারণার ছক তৈরি করে জাল বিস্তার করে চলেছে প্রতারকরা। অনলাইনে প্রতারণার জাল বিস্তার করে রেখেছে প্রতারকরা। একবার সেই জালে পা দিলেই মুশকিল! সর্বস্ব খুইয়ে রাতারাতি নিঃস্ব হওয়ার যেন কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা। কখনও ফোন করে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর চাওয়া বা ওটিপি চাওয়া কিংবা অ্যাকাউন্ট নম্বর হাতিয়ে চোখের নিমেষে ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খালি করে দেয় প্রতারকরা। এবার এক নয়া প্রতারণা চক্র সামনে এল।বেঙ্গালুরুর এক যুবতী তথা পেশায় উদ্যোপতি তিনি এক নতুন প্রতারণা চক্রের সন্ধান দিয়েছেন। কী ভাবে একটুর জন্য় বড়সড় আর্থিক প্রতারণার থেক রক্ষা পেয়েছেন তাও উল্লেখ করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে।

    কী জানিয়েছেন যুবতী? কী হয়েছিল যুবতীর সঙ্গে?

    অদিতি চোপড়া নামে যুবতী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল প্রথমে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক বয়স্ক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। তিনি নিজেকে অদিতির বাবার বন্ধু বলে পরিচয় দেন। অদিতিতে জানান তাঁর বাবাকে কিছু টাকা পাঠাতে চান তিনি। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অদিতির অ্য়াকাউন্টেই ওই টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি। ফোন নম্বর যাচাইয়ের পর পরপর দু'টি মেসেজ আসে অদিতির কাছে। প্রথম মেসেজে ১০ হাজার টাকা ও পরের মেসেজে ৩০ হাজার টাকা তাঁর অ্য়াকাউন্টে ক্রেডিট হয়েছে বলে দেখায়।

    এরপরই ওই ব্যক্তি বলেন, ভুল করে তাঁকে ৩ হাজার টাকা পাঠাতে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। অদিতি যেন দ্রুত টাকা ফেরত দিয়ে দেন তা নিয়ে অনুরোধও করেন ব্যক্তি। ব্যক্তির কথা শুনে অদিতি টাকা ফেরতও দিতে চান। UPI মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত দিতে অনুরোধ করেন ব্যক্তি। কিন্তু হঠাৎই খটকা লাগে তাঁর। নজর করেন কোনও ব্যঙ্ক থেকে নয় বরং একটি ব্যক্তিগত নম্বর থেকেই এসেছে ওই মেসেজে। ব্য়াঙ্কের মেসেজ ঠিক যে ফর্ম্য়াটে হয় সেই একই ফর্ম্যাটে এসেছে ওই মেসেজ। এরপরই ওই নম্বরে কল করেন অদিতি। ততক্ষণে তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সকলকে অদিতি সতর্ক করে বলেছেন শুধু SMS-এ ভরসা না করে সরাসরি যেন ব্য়াঙ্কের অ্যাপে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যালেঞ্জ চেক করেন।
  • Link to this news (এই সময়)