• S Jaishankar: ভারতকে 'জেনোফোবিক' বলায় বাইডনকে কড়া জবাব! কী বললেন জয়শংকর?
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর ভারতকে ‘জেনোফোবিক’ এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্দশাগ্রস্থ দেশের বিভাগে রখার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। শুক্রবার ইটি গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে না। ভারত সব সময়ই একটি অনন্য দেশ। তার আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। আমি আসলে বলব যে বিশ্বের ইতিহাসে ভারত এমন একটি দেশ যা সর্বদা অভাবীদের সাহায্য করেছে। বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন মানুষ ভারতে আসে।’সিএএ প্রসঙ্গে-জয়শংকর বলেছিলেন, তিনি মোদী সরকারের আইন সিএএ-রও উদ্ধৃত করেছেন যা প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা লোকদের নাগরিকত্ব দেয়। তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকত্ব সংশোধনীআইন যা অ্যান্য দেশে সমস্যায় থাকা লোকেদেরজন্য দরজা খুলে দেয়। আমি মনে করি যে আমাদের ভারতে আসা দরকার তাদের জন্য আমাদের দরঝা খোলা রাখা উচিত যারা ভারতে আসার দাবি করে। যারা সিএএ নিয়ে সমালোচনা করেছেন তাঁদের রীতিমতো তিরস্কার করেছেন। তিনি বলেন, এমন কিছুলোক আছে যারা প্রকাশ্যে বলেছে যে সিএএর কারণে এই দেশের ১০ লাখ মুসলমান তাদের নাগরিকত্ব হারাবেন। তাদের কাছ থেকে উত্তর নেওয়া হচ্ছে না কেন? কেউ কি তাদের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন?

    তিনি বলেন, একটি বিশেষ ধারণা দ্বারা প্রভাবিত পশ্চিম মিডিয়ার একটি অংশ বিশ্বব্যাপী প্রচারচালিয়ে ভারতকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।

    পাকিস্তানে টার্গেট কিলিং প্রসঙ্গে জয়শংকর-পাকিস্তানে টার্গেট কিলিং এর জন্য ভারতকে গোষারোপ করার প্রেস রিপোর্টের বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা প্রচুর সংখ্যা আছে। পরিসংখ্যান বলছে, যেখানে তারা বেশি সংখ্যায় সেখানে তাদের সাথে কিছু না কিছু ঘটবে। এখন তারা সন্ত্রাসবাদীদের একটি ব্যবসা তৈরি করেছে। সেখানে যেকোনও কিছু ঘটতে পারে।‘

    বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এমন একজন নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন যিনি জীবনে একবার আসেন। জয়শংকর বলেছিলেন যে এই প্রত্যয়ই তাঁকে একটি কূটনৈতিক কর্মজীবনের পরে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদেশ সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং ২০১৯ সালে বিদেশ মন্ত্রী হয়েছিলেন এস জয়শংকর।

    উল্লেখ্য, গত ২ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকার অর্থনীতির বিকাশ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সেইসময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির বিকাশের অন্যতম কারণ হলেন আপনারা এবং আরও অনেকে। কারণ আমরা বিদেশিদের স্বাগত জানাই। আমরা এটা নিয়ে ভাবি। কিন্তু চিনের অর্থনীতি কেন এভাবে থমকে গেল? কেন জাপান সমস্যার মুখে পড়ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ তারা জেনোফোবিক। তারা বিদেশিদের চায় না।’
  • Link to this news (এই সময়)