• হাত থাকতে মুখে কেন! স্কুলের মধ্যেই চুলোচুলি দুই শিক্ষিকার, দেখুন ভিডিয়ো
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৪
  • ক্লাসে পড়ুয়ারা চেঁচামেচি করলেই তাদের ধমক দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ক্লাসে কচিকাঁচাদের চেঁচামেচি, হইহল্লা অবশ্য় সাধারণ ব্যাপার। ওয়ান থেকে ক্লাস টুয়েলভ, সব ক্লাসঘরের চিত্রটাই মোটামুটি এক। কিন্তু দুই শিক্ষিকা যখন নিজেদের মধ্য়ে লড়াই করছেন তাও আবার রীতিমতো একে অপরের চুলের মুঠি ধরে লড়াই করছেন তখন তো কিছুই করার থাকে না পডুয়াদের। ভরা স্টাফরুম সাক্ষী থাকল প্রিন্সিপাল-শিক্ষিকার লড়াইেয়ের। বেশ কিছুক্ষণ পর বাকি শিক্ষক-কর্মীদের চেষ্টায় তাঁদের ঝগড়া থামে।স্কুলের মধ্যেই শিক্ষিকা ও প্রিন্সিপালের মধ্য়ে চুলোচুলি দেখে থ সহকর্মীরা । বচসাতেই থেমে থাকলেন না দুই শিক্ষিকা। বরং একে অপরকে চুলের মুঠি ধরে মারলেনও। এমন এক শিক্ষিকাকে অপর শিক্ষিকাকে খিমচাতেও দেখা যায়।

    আগ্রার এক প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। স্কুলে দেরি করে আসা নিয়ে বচসা বেঁধে যায় প্রিন্সিপালের সঙ্গে শিক্ষিকার। বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তাঁদের মারপিটের ভিডিয়ো। জানা গিয়েছে, স্কুলের ঢোকার সময় ছিল সকাল ৯টা। কিন্তু ওই শিক্ষিকা ১০টা বাজার পর স্কুলে এসেছিলেন। দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে প্রিন্সিপাল ধমক দিতে গিয়েছিলেন। তখনই বচসা বাঁধে প্রিন্সিপালের সঙ্গে। শিক্ষিকা প্রিন্সিপালকে বলেন, তিনিও বিগত চারদিন ধরে দেরিতে এসেছে। এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়াও বেঁধে যায়।

    দেখুন ভিডিয়ো

    বচসা কিছুক্ষণের পর পরিণত হয় মারপিটে। দুই শিক্ষিকার বাকি সহকর্মীদের সামনেই ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করে একে অপরকে গালিগালাজ, মারধর করতে থাকেন। স্টাফরুম উপস্থিত বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করতে থাকেন ক্রমাগত। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁদের শান্ত করা যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টায় দু'জনকে আলাদা করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় একজন শিক্ষিকার জামার সামনের দিকে অংশ ছিঁড়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্য়ে একজন শিক্ষিকার অপরজনের বিরুদ্ধে চুল টানা হয়েছে ও চোখে আঘাত করার অভিযোগ তুলেছেন। প্রধান শিক্ষিকা তাঁর আসন থেকে উঠে এসে শিক্ষিকার চোখ খামচে ধরেন। অন্যদিকে শিক্ষিকাও প্রধান শিক্ষিকার পোশাক ধরে টান মারেন সবার সামনেই। এরই মাঝে একজন তরুণ শিক্ষক সেখানে ছুটে আসেন দু'জনের মধ্যে লড়াই থামাতে। কিন্তু ততক্ষণে শিক্ষিকা পোশাক ছিঁড়তে কসুর করেননি। ওই তরুণ শিক্ষকের চেষ্টায় দু'জনের মধ্য়ে লড়াই বন্ধ করা গেলেও সুরাহা হয়নি। শিক্ষক একটু সরে যেতেই ফের তাঁরা একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই গোটা ঘটনার ভিডিয়া করেছেন আর এক শিক্ষিকা। তাঁর দৌলতেই এটি ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়।

    শিক্ষিকা ও প্রিন্সিপাল দু'জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। বর্তমানে পুলিশ পুরো ঘটনাটির তদন্ত করছে। ৩ মে ঝড়ের গতিতে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়।
  • Link to this news (এই সময়)