সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে এবার সরব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এক 'BJP নেতা'-র মন্তব্য সন্দেশখালিতে মহিলাদের অভিযোগের উপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।এবার এই ভিডিয়োটিকে সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, ‘সন্দেশখালির স্টিং শো এটা দেখায় যে বিজেপির মধ্যে পচন কতটা গভীর। বাংলার প্রগতিশীল চিন্তাধারা ও সংস্কৃতির প্রতি ঘৃণার বশবর্তী হয়ে বাংলা বিরোধীরা আমাদের সমস্ত স্তরে অপমান করার ষড়যন্ত্র করেছে। এর আগে কখনও দেখা যায়নি যে দিল্লির কোনও শাসক দল একটি গোটা রাজ্য এবং তার জনগণকে অপমান করার চেষ্টা করছে। দিল্লির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কী ভাবে বাংলার ক্ষোভ ফেটে পড়বে সেই সাক্ষী থাকবে ইতিহাস।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ার চাকদায় বলেন, 'সন্দেশখালি নিয়ে ভালো নাটক করেছে। এখন আসল তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আমি অনেক দিন ধরে বলছিলাম এটা পরিকল্পনা। BJP-র তৈরি করা নাটক।' শনিবার সন্দেশখালির ভিডিয়ো সামনে আসার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছেন। সেই দিকেও সব নজর।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসে প্রথম দিন থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ। রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলকে বিঁধেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু, ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে নিজেকে BJP-র মণ্ডল সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়া গঙ্গাধর কয়াল নামক এক ব্যক্তি বলেন, 'সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে টাকা এবং মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছিলেন BJP-র এক শীর্ষ নেতা।' এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
শনিবার এই ভিডিয়োটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর তরফে কোনও মন্তব্য সামনে আসেনি। তবে ওই ব্যক্তি জি ২৪ ঘণ্টা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ওই ভিডিয়োটিতে তিনিই রয়েছেন। কিন্তু, ভিডিয়োয় বলা মন্তব্য তাঁর কিনা, সেই প্রসঙ্গে ঠিক করে কোনও মন্তব্য তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। এদিন তৃণমূলের অফিসার এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করা হয় এই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে। সেখানেও BJP-র বিরোধিতায় সুর চড়ানো হয়েছে।