Fact Check : 'তৃণমূলের থেকে BJP-কে ভোট দেওয়া ভালো', অধীরের সেই ভিডিয়ো কি আদৌ সত্যি?
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
কিছুদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু, সেই ভিডিয়োটি বিকৃত বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ, শুক্রবার রাতে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এমনটাই জানিয়েছে।
ঠিক কী ভাইরাল হয়?সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ব্যাপক ভাইরাল হয়। সেখানে অধীর চৌধুরীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'তৃণমূলের চেয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়াও ভালো।' এই ভিডিয়ো নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। একাধিক তৃণমূল নেতা সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এই সময় ডিজিটাল-কে বলেছিলেন, 'বাংলায় কংগ্রেস বিজেপি আঁতাত আগেই দূরদৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' ভিডিয়োটি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের তথ্য সামনে আসে। যদিও কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ভিডিয়োটি সম্পাদিত।
সত্যিটা ঠিক কী?
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা PTI-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ওই ভিডিয়োটি বিকৃত। রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে জানান, ভিডিয়োটির নির্দিষ্ট কিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর প্রেক্ষিতে জঙ্গিপুর থানাতে রাজ্য পুলিশের তরফে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৯৯/৫০০ এবং IT অ্যাক্টের ধারা ৬৬ডি-তে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মোর্তাজা হোসেনের সমর্থনে সভা করেছিলেন অধীর চৌধুরী। আর এই সভাতেই উপস্থিত চিলেন অধীরও। পাশাপাশি মঞ্চে ছিলেন মহম্মদ সেলিমও। সেখানেই অধীরকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার থেকে ভালো BJP-কে ভোট দেওয়া।'
এরপরেই অবশ্য বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রশংসা করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অধীর চৌধুরী। যদিও কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ আগেই দাবি করেছিলেন ওই ভিডিয়োটি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের তিনটি আসনে হারবে বলেই ভয় পেয়ে এই সমস্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
এই নিয়ে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মহম্মদ সেলিমও এই প্রসঙ্গে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করেননি।
শেষ পর্যন্ত তদন্তে কোন সিদ্ধান্ত উঠে এল?
এর ফলে স্পষ্ট যে আদতে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যটি বিকৃত করা হয়েছে এবং তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।