ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের মাঝেই রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে লালবাজারের তরফে স্পেশাল এনকোয়ারি টিম বা SET গঠন করা হয়েছে। যারা এ বিষয়ে খুঁটিনাটি দিক খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। ওই বিশেষ দল রাজভবনে গিয়ে কাজও শুরু করেছে বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের নেতানেত্রীরা সমালোচনাও কম করছেন না। এবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিশানা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তাঁর মন্তব্য, ?লজ্জা হওয়া উচিত, ক্ষমা চাওয়া উচিত।?
শনিবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে রাজ্যপাল ইস্যুতে অভিষেক বলেন, ?রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, কী বলব? লজ্জা করে আমাদের। শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঠিক পরদিনই তিনি পালিয়ে গেলেন কোচি। কেন? তাঁর উচিত ক্ষমা চাওয়া। বাংলার মানুষ বয়কট করবে রাজভবনকে (Rajbhaban)। রাজ্যপালের কোনও বিবৃতি নেই এখনও পর্যন্ত। যতদিন উনি এই আসনে থাকবেন, ততদিন বাংলার মানুষ বয়কট করবে। শুধু বিজেপি (BJP)যাবে রাজভবনে? যাক। আপনি যা করেছেন, তার জন্য লজ্জা হওয়া উচিত। সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) আছে নিশ্চয়ই। আপনি ক্লিন হলে সিসিটিভি ফুটেজ সেটা বলে দেবে। সেটা কেন রিলিজ করছে না??
উল্লেখ্য, রাজভবনের সঙ্গে শাসক শিবিরের দূরত্ব বরাবরের। নানা ইস্যুতেই উভয়ের মধ্যে মতানৈক্য প্রায় রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন এক অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিরোধিতার সুর যে আরও চড়াবে তৃণমূল, তা স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীও শ্লীলতাহানি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। এবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যপালের উদ্দেশে। তাঁর বক্তব্য, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করলেই বোঝা যাবে অভিযোগের সত্যাসত্য।