• লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলে দিলেন মহিলারা, প্রচারে আবেগতাড়িত পাঠান
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের অন্যতম প্রধান অস্ত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের গৃহস্থ মহিলারা এই প্রকল্পের যেভাবে উপকৃত হয়েছেন, তার প্রভাব ভোটবাক্স পড়বে বলেও মনে করছেন তাঁরা। সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভেঙেই এবার প্রার্থীর হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দিলেন মহিলারা। মহিলাদের সাহায্যে চোখে জল বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের।লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তারা ইউসুফ পাঠানের হাতে তুলে দিলেন এক মাসের ভাতা। এই টাকা তাঁরা লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্যই তুলে দিলেন বলে জানালেন। একসঙ্গে ৫০ জন উপভোক্তার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে আবেগ সামলাতে পারলেন না ক্রিকেট মাঠে অবাধে ছক্কা হাঁকানো ইউসুফ পাঠান। হাজার হাজার মানুষের সামনে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন।

    বিষয়টি নিয়ে ইউসুফ পাঠান বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা ভুলতে পারব না। আপনারা দশ পা এগিয়ে এলে আমি একশো পা এগিয়ে যাব।’ শুক্রবার বিকেলে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বে রাজধরপাড়া নেতাজি সঙ্ঘের মাঠে ইউসুফ পাঠানের জনসভা ও রোড শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

    আইজুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ইউসুফ আসছেন শুনে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আমাকে বলেন, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে আমরা একমাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিতে চায়। মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছায় আমি বাধা দিইনি। সভা শুরুর দু'ঘন্টা আগে থেকে কাতারে কাতারে মানুষ রোদ মাথায় ইউসুফের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

    মার্জিনা বিবি, খালিদা বিবি, সবিতা ভাদুড়ি, সুরুবালা দাস, শ্যামলি হাজরা, সোনাভান খাতুনরা সকাল সকাল সংসারের কাজ সামলে মঞ্চের পাশে ইউসুফের অপেক্ষায় সময় গুনছেন। হাজিপাড়ার বাসিন্দা মার্জিনা বিবি বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের বারো মাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা দিচ্ছেন। আমরা আমাদের প্রার্থীকে একমাসের টাকা দিলাম।’

    বিজেপির নির্মল সাহাকে শুভেচ্ছা ইউসুফ পাঠানের

    আরেক মহিলা হেকমপুরের বাসিন্দা বিলকিস বেগম জানান, আমরা জানি ইউসুফের মতো বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের টাকার অভাব নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই এই সিদ্ধান্ত। বিধবা ভাতার টাকা নিয়ে ইউসুফের দিকে এগিয়ে এলেন এলোফা বেওয়া। ইউসুফের হাতে বিধবা ভাতার এক হাজার টাকা তুলে দিলেন তিনিও। ইউসুফের মাথায় হাত রাখতেই ইলোফা বেওয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি।

    গত একমাস ধরে গোটা জেলা চষে বেড়াচ্ছেন ইউসুফ পাঠান। যেখানেই গিয়েছেন, ছোট থেকে বড় অটগ্রাফের জন্য খাতা, ব্যাট, টুপি, জার্সি এগিয়ে দিয়েছেন। কাউকে হতাশ করেননি বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার। যেদিকেই গিয়েছেন, মানুষের শুভেচ্ছা তাঁকে ভরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শুক্রবারের বৈকালিক সভা অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল। বিশ্বমানের ক্রিকেটারকে বারবার কালো চশমা তুলে চোখ মুছতে দেখে অবাক হাজার হাজার মানুষ। মঞ্চের সামনে থেকে সমস্বরে ভেসে আসে চিৎকার ‘খেলা হবে’।
  • Link to this news (এই সময়)