• গুরুদ্বারে ধর্মগ্রন্থের পাতা ছিঁড়ে অবমাননা! নাবালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পঞ্জাবে
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
  • শনিবার এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল পঞ্জাবের বান্দালা গ্রামের একটি গুরুদ্বার। পঞ্জাবের একটি গুরুদ্বারে শ্রদ্ধেয় গুরু গ্রন্থ সাহিবের কয়েকটি পাতা ছিঁড়ে ফেলার অপরাধে বেধড়ক পিটিয়ে মেরে ফেলা হল এক যুবককে।সূত্রের খবর, বকশিশ সিং নামে পরিচিত ওই কিশোর একটি গুরুদ্বার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার পর পবিত্র ধর্ণগ্রন্থের কয়েকটি পাতা ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ। তারপর পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় কিছু লোক তাকে ধরে ফেলে এবং কথিত ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা দুরুদ্বারে জড়ো হন েবং যুবককে মারধর করেন। গুরুতর অহাত অবস্থায় এরপর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পৌঁছন সিনিয়ার পুলিশ সুপার সৌম্য মিশ্র সবহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

    শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব সৎকার কমিটির চেয়ারম্যান লখবীর সিং-এর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারার অধীনে বকশীশ সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।

    অন্যদিকে, নিহত বকশিশ সিংয়ের বাবা লখবিন্দর সিং জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছিল। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লখবিন্দর সিং তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।

    বকশিশের বাবা লখবিন্দর জানান, তাঁর ছেলে গত কয়েক বচর ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল এবং তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁর ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদর বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর নথিভুক্ত করা উচিত।

    এদিকে অকাল তখতের জাথিদার জিয়ানি রঘবীর সিং ফিরোজপুরে ধর্মবিশ্বাসের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বকশিশের মৃত্যুকে ‘অপরাধীদের শাস্তি দিতে এবং আইন দ্বারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। তদুপরি জাঠেদার শিখ সঙ্গতকে ধর্মগ্রন্থ ধর্মত্যাগের অভিযুক্তের পরিবারকে সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে বয়কট করতে এবং অভিযুক্তদের শেষকৃত্য কোনও গুরুদ্বারে অনুষ্ঠিত হতে না দেওয়ার জন্য বলেছেন।

    এর আগে চলতি বছরেই বাংলাদেসের ফরিদপুর জেলর মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নে একটি মন্দিরের প্রতিমায় আগুন দেওয়া নিয়ে সন্দেহের জেরে দুজন শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় দশজনকে আটক করা হয়।

    জানা যায়, সন্ধ্যায় সন্ধ্যাবাতি দেওয়া হয়ছিল মন্দিরে। তারপরই প্রতিমার আগুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা জানার আগেই দুজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়।
  • Link to this news (এই সময়)