Lok Sabha Election 2024: ২০১৯ সালের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ আসনে ৫% ভোট কম! প্রভাব কী? জানুন
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন সাত দফায়। এখন পর্যন্ত ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল দুই দফায় মিটেছে ভোটগ্রহণ পর্ব। উভয় দফায় ২৩টি রাজ্যের ১৯০টি লোকসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত, দুই দফায় ভোটের হার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় প্রায় তিন শতাংশ কম। এর মধ্যে ৫৯টি লোকসভা আসন রয়েছে যেখানে ২০১৯ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ বা কম ভোট পড়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে, কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে, ১৬টি আসন ছিল যেখানে ভোটের শতাংশ ছিল পাঁচ শতাংশ বা তার কম। বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে যেখানে ভোট পড়েছে পাঁচ শতাংশ বা তারও কম তার মধ্য়ে নাভানা আসনে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনে ভোট পড়েছে পাঁচ শতাংশের কম। অন্যদিকে, ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে।৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে
এই পর্বে ৪,২৬৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ১,৯৭০টি মনোনয়নপত্র সঠিক বলে নির্বাচিত হয়েছে। নাম প্রত্যাহারের শেষ তারিখ পর্যন্ত ২৫৩ জন প্রার্থী তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। চতুর্থ দফায় ১,৭১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্যের ৯৬টি লোকসভা আসনের চলবে ভোটগ্রহণ।
কম ভোট কি বড় প্রভাব পড়বে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনে এক-দুই বা এমনকী তিন-চার শতাংশ কম বা বেশি ভোটও বড় পার্থক্য বলে মনে করা হয় না। কিন্তু বিশেষ করে যেসব আসনে পাঁচ শতাংশ বা তার কম ভোট পড়েছে, সেখানে কম ভোটের পিছনের কারণ কী তা একটি বিশ্লেষণের বিষয়। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনও নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কারণ জানার চেষ্টা করবেন। কোনও পর্যায়ে যদি কোনও ঘাটতি ধরা পড়ে, তাহলে তা শুধরে ভোটাররা যাতে আরও বেশি করে বুথমুখো হন সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। প্রত্যেকটি দফা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে কোথায় খুব কম আর কোথায় বেশি ভোট করেছে। এই দুটি কারণ জানার পরই নির্বাচন কমিশনও ভোট বৃদ্ধি বা হ্রাস সম্পর্কে তথ্য পায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, অস্বাভাবিক হারে কম ভোট শাসকদল বিজেপি নেতৃত্বের জন্য অশনিসংকেত। জনকল্যাণ নীতির বদলে রাজনৈতিক অভিসন্ধির তরজায় আম-জনতা কষ্ট করে ভোটদান থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।