Poonch Terror Attack: ভূস্বর্গে গুলিবৃষ্টি জঙ্গিদের, IAF অফিসার শহিদ
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
শ্রীনগর: ভোটের আবহেই ফের জঙ্গিহামলা কাশ্মীরে! শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের সুরানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার কনভয় লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তাতে শহিদ হন এক বায়ুসেনা অফিসার, আহত পাঁচ জন। আহতদের মধ্যে একজন এয়ারম্যানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বায়ুসেনার তরফে খবর, ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে রাষ্ট্রীয় রাইফেল ইউনিট। চলছে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজ। জঙ্গি মোকাবিলায় পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। চলতি বছরে এই প্রথম এত বড় মাপের জঙ্গিহানার সাক্ষী কাশ্মীর।সেনা সূত্রে খবর, সুরানকোটে এলাকা থেকে সেনাই টপে আসছিল ভারতীয় বায়ুসেনার কনভয়। শাহসিতারের কাছে কনভয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তার দু’পাশ থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বায়ুসেনার কনভয়ের গাড়ির উইন্ডশিল্ড বুলেটে ঝাঁঝরা! অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট ২৫ মে, অর্থাৎ তিন সপ্তাহ পর। তার আগেই জঙ্গিদের এই আক্রমণ কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ২০১৯-এর ৫ অগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলা অনেক কমে গিয়েছে বলে দাবি করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাস্তবচিত্র বলছে, কাশ্মীরে সেনার পাশাপাশি ভিন্রাজ্যের শ্রমিক, সরকারি কর্মচারী, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর টার্গেটেড জঙ্গি হামলা বেড়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর সুরানকোটের কাছেই বুফলিয়াজ় এলাকায় এ ভাবেই সেনা কনভয়ের উপর গুলিবৃষ্টি চালিয়েছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। সেই বার শহিদ হয়েছিলেন চার সেনা, আহত হয়েছিলেন তিন জন। শনিবারের হামলার পিছনেও সেই জঙ্গিগোষ্ঠী থাকতে পারে বলে অনুমান বাহিনীর। গত বারের মতো এ বারও জঙ্গিরা জঙ্গলে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে খবর। চলছে তল্লাশি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পুঞ্চে সন্দেহজনক গতিবিধির খবর আগেই ছিল পুলিশের কাছে। শুক্রবারই সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল আধা-সামরিক বাহিনী। তবে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি, তার পর দিনই এমন প্রাণঘাতী হামলা! গত ২২ এপ্রিল রাজৌরির কুন্দা টপ গ্রামে এক সেনার ভাই, সরকারী চাকুরে মহম্মদ রাজাককে খুন করে জঙ্গিরা। সন্দেহভাজন হিসেবে লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি আবু হামজ়া। তাকে ধরে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারমূল্য দেওয়ার ঘোষণাও হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার স্মৃতি উসকে দিয়েছে। সেই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জনের বেশি জওয়ান।