Narendra Modi Rahul Gandhi : ‘কংগ্রেস লাভ লেটার দিত, নয়া ভারত ঘরে ঢুকে মারে!’ রাহুলকে কটাক্ষ মোদীর
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
পালামৌ: ভোটের আবহে ফের ‘ঘর মে ঘুষকে মারেঙ্গে’ স্লোগান খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে। নিশানায় আবারও পূর্বতন কংগ্রেস সরকার। এপ্রিলের মাঝামাঝি কার্যত একযোগেই মোদী ও তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে একযোগে বলতে শোনা গিয়েছিল— ‘দুর্বল কংগ্রেস সরকারের জমানা গিয়েছে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আর নরম নীতি নয়। এখনকার ভারত জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মারে।’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, আগের সরকারের নরম নীতিতে ইসলামাবাদ জঙ্গিদের আরও বেশি করে প্রশ্রয় দিয়েছে। ভারত সরকারের এই ‘ঘর মে ঘুষকে মারেঙ্গে’ মুড যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক, তখনই তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের সেই উদ্বেগকে কার্যত পাত্তা না-দিয়েই মোদীর মুখে সেই এক কথা। বরং কংগ্রেসকে বিঁধতে গিয়ে আরও ঝাড়খণ্ডের সভায় খানিকটা সুর চড়িয়ে ‘দুর্বল’-এর বদলে এবার ‘কাপুরুষ’ শব্দ ব্যবহার করতে শোনা গেল মোদীকে। একইসঙ্গে দাবি করলেন, ‘পাকিস্তান নিজেদের কায়েমি স্বার্থপূরণে শেহজাদাকেই (রাহুল গান্ধী) ক্ষমতায় দেখতে চায়।’আবার বিহারের একটি জনসভা থেকে এ দিনই ফের সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে টার্গেট করেন মোদী। রাজস্থানের সেই বিতর্কিত সভার সুরেই এ দিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মনে রাখবেন, এই কংগ্রেসই কিন্তু ওবিসি-দের থেকে সংরক্ষণের কোটা ছিনিয়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দিয়েছিল। ক্ষমতায় এলে গোটা দেশই ওরা এই পথে হাঁটবে।’ ওই সভা থেকে রাহুলের পাশাপাশি জমি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ‘পাটনার শেহজাদা’ বলে নীতীশকেও একহাত নেন মোদী।
বিহারের আগে ঝাড়খণ্ডের পালামৌ-এর জনসভায় মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস যখন সরকারে ছিল, তখন সীমান্তপারের জঙ্গিরা অবাধে এ দেশে ঢুকে মানুষ মারত। সরকার তখন শান্তির আশায় পাকিস্তানকে প্রেমপত্র লিখত আর আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে কাঁদুনি গাইত। প্রেমপত্রের জবাবে পাকিস্তান কিন্তু আরও জঙ্গি পাঠাত ভারতে। কিন্তু আপনাদের ভোটে সরকার গড়ার পর আমরা বললাম, যথেষ্ট হয়েছে। আজকের নিউ ইন্ডিয়া কোনও ডসিয়ার পাঠায় না। এটা নতুন ভারত। ইয়ে ভারত ঘর মে ঘুস কে মারতা হ্যায়। আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাওয়ার্ড কংগ্রেস সরকার যে কাঁদুনি গাইত, সেটাই এখন পাকিস্তান করছে। সবার দরজায় দরজায় গিয়ে সাহায্য চেয়ে কাঁদছে।’
টিভি বক্তৃতায় গেরুয়া শিবিরের নেতারা বলছেন- ‘রাহুলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।’ মোদী কিন্তু কার্যত সব সভাতেই টার্গেট করছেন ‘দিল্লির শেহজাদা’কে। গত বারের মতো এ বারও দু’টি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন রাহুল। উনিশের ভোটে ওয়েনাড় জয় এনে দিলেও আমেঠিতে হার মানতে হয়েছিল সনিয়া-পুত্রকে। এবার অবশ্য আমেঠি নয়, ওয়ানাড়ের পাশাপাশি রায়বরেলি থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন রাহুল। কী বলছে ওয়েনাড়? মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে সেখান থেকে। কেউ বলছেন, ‘এটা ঠিক নয়। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেই উনি রায়বরেলি থেকেও দাঁড়াচ্ছেন।’ আবার দ্বিতীয় অংশের বক্তব্য, ‘দু’টি কেন্দ্র থেকে তো উনি দাঁড়াতেই পারেন। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই। মনে রাখতে হবে উনি কিন্তু ইন্ডিয়া জোটেরও লিডার। তবে রায়বরেলি থেকেও জিতলে উনি হয়তো ওয়েনাড় ছেড়ে দেবেন। সেটা একদিকে খারাপই অবশ্য।’