'হাঁফানি আছে নাকি? বিড়ি খাবেন না একদম', মাছ বিক্রেতাকে পরামর্শ দিলীপের
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরেছিলেন তিনি। তবে এদিন রাজনৈতিক কোনও মন্তব্য নয়, তিনি সোজা চলে গিয়েছিলেন মাছের বাজারে। দরদাম করেননি। কিন্তু, মাছ বিক্রেতাকে রবিবার সকালে বিশেষ পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ।তিনি বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা। এই বার মেদিনীপুর কেন্দ্রের বদলে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছে BJP। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এহেন দিলীপ ঘোষই রবিবার বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। তবে হাতে ব্যাগ ছিল না। এদিন দুর্গাপুরের হেডকোয়াটার মোড়ের কাছে এক মাছ বিক্রেতার কাছে যান তিনি। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মাছ চান। দরদাম অবশ্য দিলীপ করেননি। সেই সময়ই মাছ বিক্রেতার শুকনো কাশি নজর এড়ায়নি তাঁর। দিলীপ ঘোষ মাছ কেনার পর জিজ্ঞাসা করেন, 'হাঁফানি রয়েছে আপনার? কাশছেন কেন? বিড়িটা খাবেন না।'
ধূমপান যাতে না করেন, সেই জন্য মাছ বিক্রেতাকে সচেতন করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন ২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি বাটা সঙ্গে করে নিয়ে যান দিলীপ। এদিকে সকাল সকাল দিলীপ ঘোষের দর্শন পেয়ে খুশি ওই মাছ বিক্রেতাও। সুখদেব কর্মকার নামক ওই মাছ বিক্রেতা বলেন, 'দিলীপ ঘোষ এক কেজি বাটা মাছ কিনেছেন। এর জন্য কোনও দরদাম তিনি করেননি। আমি কাশছিলাম। সেই সময় আমাকে বিড়ি খেতে মানা করেছেন।'
দিলীপ ঘোষের এই পরামর্শের পর তিনি কি ধূমপান ত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নের কোনও জবাব ওই মাছ বিক্রেতা দেননি। শুধু হেসে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ নিজেও বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। প্রতিদিন তিনি প্রাতঃভ্রমণ করেন। যদিও সেখানে রাজনীতির ডোজ থাকে ষোলআনা। এছাড়াও RSS-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন তিনি যুক্ত ছিলেন। লাঠি ঘোরান বনবন করে।
'তৃণমূল-বিজেপি সবাই আসবে, দিলীপ ঘোষ একটা ব্র্যান্ড' হকিতে মজলেন দিলীপ
উল্লেখ্য, বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কীর্তি আজাদকে। বিশ্বকাপজয়ী টিমের সদস্য প্রাক্তন এই ক্রিকেটার নিজের মতো করে প্রচার সারছেন। অন্যদিকে, প্রচারের প্রথম থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে।
কখনও তিনি স্বভঙ্গিমাতে হুংকার দিয়েছেন, আবার কখনও গান গেয়েছেন। দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী করা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছিল বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। এই নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের কণ্ঠে। এমনকী, দলের অন্দরেও জেলার নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না, শোনা যায় এমনটাই।