• বুদ্ধবাবুর ‘এআই বার্তা’ সিপিএমের সোশ্যাল মিডিয়ায়
    বর্তমান | ০৫ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিকেল থেকেই একটা চাপা কৌতূহল তৈরি হয়েছিল বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গ সিপিএমের পেজে একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়...।’ কী হতে চলেছে? ঘণ্টা দু’য়েকের জল্পনা শেষে প্রকাশিত হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) তৈরি একটি অডিও-ভিস্যুয়াল বার্তা। অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচর্যের এআই নির্মিত ভিডিও ও অবিকল কণ্ঠস্বরের সেই মিশেল মুহূর্তেই ভাইরাল করতে নেমে পড়েন বাম কর্মী-সমর্থকরা। অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ওই বার্তায় তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে ছিল বুদ্ধবাবুর দেওয়া স্লোগান, ‘সামনে লড়াই, এ লড়াই লড়তে হবে। এ লড়াই জিততে হবে।’ তবে দলের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের এই উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর। প্রশ্ন উঠেছে, অসুস্থ বুদ্ধবাবু কি জানেন এআইর মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠস্বর ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে? সিপিএম ডিজিটালের পক্ষ থেকে অবিন মিত্র বলেন, ‘আমরা ওঁর কাছে গিয়ে গোটা লেখাটি শুনিয়েছি। ওঁর সম্মতি নিয়েই এটা প্রকাশ করা হয়েছে।’

    ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই মুহূর্তে কলকাতায় বাম প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন। শুক্রবার তিনি যাদবপুরের জনসভা থেকে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগজুড়ে ছিল বিজেপিকে আক্রমণ। তৃণমূলের জন্য তিনি মাত্র কয়েক মিনিট বরাদ্দ করেছিলেন। মানিকবাবু বলেন, ‘বিজেপি সংবিধান পাল্টানোর চেষ্টা করছে। বিজেপির সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএস।’ তাঁর বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন তৈরির প্রক্রিয়া থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘ইলেক্টোরাল বন্ড কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া। সিপিএম এর বিরোধিতা করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা দিয়ে পেট ভরবে না। কাজ, শিল্প, ওষুধ, হাসপাতাল দরকার।’ বিজেপি যে এবার কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারবে না, তাও প্রত্যয়ের সঙ্গে দাবি করেন এই সিপিএম নেতা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সমঝোতার অভিযোগও করেন। বলেন, ‘সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার মতাদর্শকে রক্ষা করতে হবে। কী খাবেন, কী পরবেন, বন্ধু বাছাই কী হবে? সবটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে ওরা। প্রধানমন্ত্রী স্লোগান তুলেছিলেন ৪০০ আসনে জেতার। এই সংখ্যা হাতে পেলে সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ চলে আসবে। ওরা তখন ভারতকে শতবর্ষ পিছনে ফেলে দেবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)