• কয়েক বছর ধরে বন্ধ ক্যানিং-বারুইপুর রুট, সুসজ্জিত টার্মিনাসে মেলে না বাস
    বর্তমান | ০৫ মে ২০২৪
  • সংবাদদাতা,  বারুইপুর: ক্যানিং-বারুইপুর রুটে বাস চলাচল কয়েক বছর ধরেই বন্ধ। চড়া ভাড়া দিয়ে অটোই ভরসা মানুষজনের। তাও সন্ধ্যার পর অটো সেভাবে পাওয়া যায় না। এদিকে, বারুইপুরের বিডিও অফিসের অদূরেই ফুলতলায় তৈরি হয়েছিল সুসজ্জিত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস। কিন্তু অভিযোগ, সেখান থেকে মেলে না কোনও বাস। এই দুই ইস্যুকেই প্রচারে এনেছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম, বিজেপি ও এসইউসি কর্মীরা। যদিও একে আমল দিতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল নেতা আশিস দেবরায় বলেন, সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও হচ্ছে।

    কয়েক বছর আগেও বারুইপুর থেকে সকালে বেসরকারি বাস চলাচল করত ক্যানিংয়ের দিকে। এমনকী, বাসন্তীর গদখালি পর্যন্ত বেসরকারি বাস চালু ছিল। কিন্তু ৩-৪ বছর ধরে তা পুরোপুরি বন্ধ। আর সরকারি বাস তো চালুই হয়নি। ক্যানিং যেতে হলে চড়া ভাড়া দিয়ে অটোয় উঠতে হয়। নতুবা দু’টি অটো পাল্টে বারুইপুর স্টেশন বা চম্পাহাটি স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরে ক্যানিং যেতে হয়। এছাড়া বারুইপুর থেকে সোনারপুর ট্রেনে গিয়ে, তারপরে ক্যানিং লোকাল ধরতে হয়। যদিও, ২০১৯ সালে ফুলতলায় বারুইপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন হয়েছিল। প্রথম দিকে হাওড়া, দীঘা, নবান্ন পর্যন্ত বাস চালু থাকলেও এখন মেলে না কোনও বাস। আগাছায় ভরেছে এলাকা।

    এই প্রসঙ্গে বারুইপুরের সিপিএম নেতা স্বপন নস্কর বলেন, তৃণমূল কোনও সরকারি বাস ক্যানিং পর্যন্ত চালু করতে পারেনি। যে বেসরকারি বাস চলত তাও বন্ধ। মানুষজনকে ৫০-৬০ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে বারুইপুর থেকে ক্যানিং যেতে হয়। আর কয়েক কোটি টাকায় নির্মিত টার্মিনাসে বাসই পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে মানুষের। আমাদের প্রার্থী সৃজনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যা তুলেছিলেন। এটাকেই আমরা প্রচারে তুলে ধরেছি।

    বিজেপি নেতা উত্তম কর বলেন, গরিব মানুষকে ক্যানিং যেতে হলে ৬০ টাকা অটোর ভাড়া দিতে হয়। আবার ফুলতলায় কোনও বাস পাওয়া যায় না। সন্ধ্যায় তা দুষ্কৃতীদের আড্ডাস্থল হয়ে ওঠে। প্রচারে এই বিষয়গুলি তুলে ধরা হচ্ছে। এসইউসি নেতা অধ্যাপক তরুণ নস্কর বলেন, পরিবহণ ব্যবস্থাকে নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে। এই সমস্যা নিয়ে আমাদের প্রার্থী কল্পনা নস্কর দত্ত যাচ্ছেন মানুষের কাছে। অনেকে অভিযোগও করছেন, বিষয়টি দেখার জন্য। 
  • Link to this news (বর্তমান)