সংবাদদাতা, বজবজ: সৌর ঘোষাল, পুষ্পল দত্ত এবং প্রিয়ম আদকদের আর্থিক সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা করতে হয়। সৌর ঘোষালের বাবার কোনও স্থায়ী কাজ নেই। পুষ্পল আদক ও প্রিয়মের বাবা কর্মহীন। টানাটানির সংসার সত্ত্বেও বাটানগরের মহেশতলা, বজবজ ও পূজালী এই তিন পুরসভার মধ্যে সৌরের প্রাপ্ত নম্বর (৬৭২) সব থেকে বেশি। তার বাবা সমীরণ ঘোষাল কোনওরকমে সংসার চালান। ফলে শ্যামপুরে মামাবাড়িতে থাকে সৌর। সে বজবজের পিকে হাইস্কুলের ছাত্র। ছাত্রটি বাংলায় ৯৬, ইংরেজিতে ৯৩, অঙ্কে ৯৮, ভূগোলে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৮, জীবনবিজ্ঞানে ৯৩, ইতিহাসে ৯৪ পেয়েছে। সৌর বলে, ‘গল্প লিখতে ভালোবাসি। অঙ্ক নিয়ে পড়ার ইচ্ছে।’ পুষ্পলের বাড়ি মহেশতলার নুঙ্গি স্টেশন রোডে। নুঙ্গি হাইস্কুলের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫০। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯১, অঙ্কে ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে ৯৪, ইতিহাসে ৯০, ভূগোলে ৯২, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯ পেয়েছে। তার বাবা প্রলয় দত্ত ২০১৮ থেকে শয্যাশায়ী। ছোট একটি মুদি দোকান আছে ওদের। তাতেই টেনেটুনে সংসার চলে। পুষ্পল বলে, ‘বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে।’ পূজালীর ছোট বটতলায় ছোট একটি টিনের ঘরে বসবাস প্রিয়ম আদকের। সে নুঙ্গি হাইস্কুলের ছাত্র। তার মা প্রাইভেট টিউশনি করে ছেলের পড়াশোনায় সাহায্য করেন। অনটন সত্ত্বেও ৬৫৪ পেয়েছে ছাত্রটি। অঙ্ক ও ভূগোলে ৯৮ পেয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, জীবন বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞানে নম্বর ৯০ এর বেশি। ইতিহাসে পেয়েছে ৮৩।