S Jaishankar: নেপালি নোটে ভারতের তিন এলাকা, পড়শি দেশকে 'রিয়্যালিটি চেক' জয়শংকরের
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
নতুন ১০০ টাকার নোট বাজারে আনতে চলেছে নেপাল সরকার। আর সেই নোট ৩ মে বাজারে আসতেই শুরু হয়ে গেচে হইচই। সেই ১০০ টাকার নোটে ভারতের তিনটি এলাকাকে দেখানো হয়েছে নেপালের জায়গা হিসেবে। এই তিনটি জায়গা হল লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানি। আর এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হচ্ছিল তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল।নেপালের তত্য, প্রযুক্তি এবং জনসংযোগ মন্ত্রী জানান, নেপালের মন্ত্রীসভা ২৫ এপ্রিল এবং ২ মে বৈঠকে ঠিক করেছে নতুন ধরনের ১০০ টাকার নোট বাজারে আনা হবে, যেখানে নেপালের মানচিত্রে কিছু আপডেট করা হবে।প্রতিবেশী দেশ তিনটি বিতর্কিত ভারতীয় অঞ্চল সমন্বিত একটি নতুন নেপালি রুপির ১০০ মুদ্রার নোট চালু করার পরে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর নেপালকে ‘একতরফাভাবে’ বিষয়গুলি তাদের পক্ষে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ভুবনেশ্বরে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী বলেন, নেপালের এমন পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাবে না।জয়শংকর বলেন, ‘আমি সেই প্রতিবেদনটি দেখেছি। আমি এটিকে বিশদভাবে দেখিনি, তবে আমি মনে করি আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। নেপালের সাথে আমরা একটি প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং তারপরে তারা একতরফাভাবে তাদের পক্ষে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল কিন্তু তাদের পক্ষে কিছু করে তরা আমাদের মধ্যে পরিস্থিতি বা বাস্তবতা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে না।’প্রসঙ্গত, নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১৮৫০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেপাল। ২০২০ সালে নেপাল লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকে নিজেদের অংশ হিসাবে দেখিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করে। তারপরে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও ১০০ টাকার নোটে নতুন মানচিত্র নিয়ে শুরু হতে পারে দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন। এই বিষয় নিয়ে শনিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর জানান, নেপালের একতরফা পদক্ষেপ বাস্তবকে বদলাতে পারবে না। আমাদের এই বিষয়ে অবস্থান খুবই স্পষ্ট।২০২০ সালের ৪ মে লিপুলেখ হয়ে কৈলাশ মানসসরোবরকে সংযোগকারী একটি রাস্তার উদ্বোধনের পরে এই সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছিল, যার পরে নেপাল এই পদক্ষেপের আপত্তি জানিয়ে ভারতের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট হস্তান্তর করেছিল। হস্তান্তরের আগে নেপাল রাস্তাটি নির্মাণে ভারতের একতরফা পদক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছিল।এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ‘পুরোপুরি ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে।’