উঠে গেল ভ্রমণ বীমার বাধ্যতামূলক খরচ, ভারতীয়দের জন্য আরও সস্তায় ভুটান বেড়ানোর সুযোগ
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
ভুটানের পর্যটন বিভাগ পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বীমার প্রয়োজনীয়তার নিয়ম তুলে নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে করোনা মহামারী চলাকালীন অপ্রত্যাশিত জরুরী অবস্থা, বিশেষ করে মহামারী সম্পর্কিত চিকিৎসা ব্যয়গুলি কভার করার জন্য চালু করা হয়েছিল ভ্রমণ বীমার। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলিকে মসৃণ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভ্রমণ বীমার প্রয়োজনীয়তা এখন আক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।পর্যটকদের জন্য ভ্রমণকে আরও সহজলভ্য করার চেষ্টায় ভুটান কর্তৃপক্ষ ২০২৪ এর ২৩ এপ্রিল এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। যদিও ভ্রমণ বীমা আর বাধ্যতামূলক নয় তবুও পর্যটন বিভাগ সুপারিশ করে যে পর্যটকদের এটি একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে।
ভুটানের পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, ‘পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ভ্রমণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য অবিলম্বে ভ্রমণ বীমার বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যাইহোক কোনো আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সাথে যুক্ত অসম্ভাব্য জরুরী অবস্থার ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসাবে পর্যটকদের ভ্রমণ বীমা থাকা বাঞ্ছনীয়।’
এমনিতেই পর্যটকদের সংখ্যা বাড়াতে পর্যটকদের জৈনিক ফি ১০০ করেছে ভুটান সরকার। ভারতীয় মুদ্রায় ৮ হাজার ২৬১ টাকা। আগে গ্লোবাল ট্যুরিস্টদের ক্ষেত্রে এই ফি ছিল দ্বিগুণ। দৈনিক ২০০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১৬ হাজার ৫২৩ টাকা।
তবে কোভিড মহামারীর পরে পর্যটন শিল্পকে পুনরুদ্ধার করতে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু নতুন ঘোষণা করেছে ভুটান সরকার।
এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে-পর্যটকদের দৈনিক ফি ২০০ ডলার থেকে কমিয়ে ১০০ ডলার করা। যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কার্যকর হয়েছে। এই নিয়ম আগামী চার বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বৈধ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভূটানে পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এই সময়ের মধ্যে ২৫,০০৩ জন পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেছেন বলে পর্যটন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।
এই ধরণের পরিসংখ্যান ২০২৩ সালে একই সময়ের মধ্যে রেকর্ড পরিসংখ্যানের থেকে অনেক বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর প্রথম তিম মাসে মাত্র ১২, ৬৯৬ জন পর্যটক ভুটান ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এই বছর গত বছরের তুলনায় ৯৭ শতাংশ বেশি পর্যটক এসেছেন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম মাস ছিল মার্চ মাস। এই মাসেই প্রায় ১৫ হাজার পর্যটক গিয়েছিলেন ভুটানে। এই পর্যটকদের মধ্যে ষাট শতাংশই ছিল ভারতের। এই সময়ে ভুটানে আসা বাকি পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউকে, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, ইতালি, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা থেকে আসা পর্যটক।
কারিসা নিমাহ পর্যটন বিভাগের প্রধান বিপণনের কর্মকর্তার মতে, পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কারণে দায়ী করা যেতে পারে, যেমন দৈনিক ফি কমিয়ে পর্যটন পিছু ১০০ ডলার করা।