Puri Jagannath Temple : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়িতে পা ফেললেই সর্বনাশ! ভাইরাল এই দাবির নেপথ্যে কোন রহস্য?
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
জগন্নাথ ভক্তরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে বৈকুণ্ঠ রয়েছে একমাত্র পুরীর মন্দিরে। ভগবান জগন্নাথের দর্শন মেলে সুখ-সমৃদ্ধি আসে বলেও বিশ্বাস করেন ভক্তরা। প্রতি বছর পুরীতে আয়োজিত জগন্নাথের রথযাত্রা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ দর্শনার্থী পৌঁছন। এই পুরীর মন্দিরের সঙ্গে এমন অনেক রহস্য জড়িয়ে রয়েছে যার কোনও উত্তর কখনও মেলেনি। সেই রহস্যগুলির জন্য় জগন্নাথদেবের এই মন্দির আরও প্রসিদ্ধ হয়েছে।কথিত আছে, জগন্নাথ মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়িতে ভক্তদের পা রাখা নিষেধ। সম্প্রতি এই রহস্য নিয়ে নতুন করে চর্চায় পুরীর জগন্নাথধাম। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হচ্ছে পুরীর মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়ির রহস্য। কোন কাহিনি রয়েছে এর নেপথ্যে?
রহস্যময়ী সিঁড়িভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার হিসেবে জগন্নাথদেব এই পুরীর মন্দিরে বিরাজমান বলে মনে করেন ভক্তরা। জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট লাঘব করতে তাই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। জগন্নাথদেবের পুরীর মন্দিরে রয়েছে মোট ২২টি সিঁড়ি। এই সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় তৃতীয় সিঁড়িতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
কেন তৃতীয় সিঁড়িতে পা দেওয়া হয় না?ধার্মিকদের মতে, জগন্নাথ মন্দিরের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের সময় ২২টি সিঁড়ি চড়তে হয় ভক্তদের। এর মধ্যে তৃতীয় সিঁড়িকে বলা হয় যমশিলা। যে ব্যক্তি এই সিঁড়িতে পা রাখেন, তাঁর যমলোকে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। মন্দির দর্শনে যাওয়ার সময় কিংবা ফেরার পথে ভুল করেও কেউ যদি তৃতীয় সিঁড়িতে পা ফেলে দেন, তাহলে ঘটে যেতে পারে সর্বনাশ। এমনটা হলে কোনও ভক্তের অর্জন করা সমস্ত পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর যমলোক যাওয়াও অবধারিত হয়ে যায় বলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস। ফলে ভুল করা থেকে সাবধান হতে ভক্তরা কখনও জগন্নাথ মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়িতে পা দেন না। এই সিঁড়ির রং কালো করে রাখা হয়েছে যাতে চিহ্নিত করতে কোনও সমস্যা না হয়।
পৌরাণিক কাহিনিপৌরাণিত গাঁথা অনুযায়ী, একবার যমরাজ ভগবান জগন্নাথের কাছে যান এবং বলেন, হে প্রভু, এই মন্দিরে আপনার দর্শন পাওয়া মাত্র সমস্ত ভক্তের পাপ মিটে যায়। কেউ আর যমলোকে যায় না। যমরাজের কথা শুনে না কি ভগবান জগন্নাথ বলেছিলেন, আপনি এই মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়িতে বিরাজমান হন। আমার দর্শনের পর যারা এই সিঁড়িতে পা ফেলবেন, তাঁদের অর্জিত সমস্ত পুণ্য পাপে বদলে যাবে। তাঁদের যমলোক প্রাপ্তি হবে। এই পৌরাণিক বিশ্বাস থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের তৃতীয় সিঁড়িতে কেউ পা ফেলেন না।