রায়বরেলি আসনে রাহুল গান্ধীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি। প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে। আর সেই প্রেক্ষিতেই রাহুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। কেরালার ওয়েনাড়ে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই আসনে ভোট মিটেছে ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়। ওয়েনাড়ের পর রায়বরেলি থেকেই রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস। দলের ঘোষণার পর শনিবার, ৩ মে রায়বরেলিতে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন তিনি। তারপরই সামনে এসেছে এই অভিযোগ।রায়বরেলি আসনে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিরুদ্ধ প্রতাপ সিং নামে এক ব্যক্তি। অনিরুদ্ধে প্রতাপ রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, ব্রিটিশ নাগরিক রাহুল গান্ধী। তাহলে তিনি ভারতের নির্বাচনে লড়ছেন কী করে? পাশাপাশি মোদী পদবি মানহানি মামলায় তাঁকে দুই বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। তাই ওই ব্য়ক্তির যুক্তি, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
অনিরুদ্ধর আইনজীবী অশোক পাণ্ডে জানিয়েছেন, প্রথমত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে উনি নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য। সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু আফজল আনসারির মতো নির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে। রাহুলের উচিত নির্বাচন লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানো।' আইনজীবীর সংযোজন ২০০৬ সালে রাহুল একবার নিজেই বলেছিলেন তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে তিনি কী ভাবে ভারতের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আমার অভিযোগ জানানোর পরই ডাকা হয় রাহুল গান্ধীর প্রতিনিধিদেরও। আমার অভিযোগ গৃহীত হয়েছে।'
বিষয়টি নিয়ে জবাব দিতে দেরি করেনি কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অজয় পাল সিং বলেন, 'অভিযোগ জানানোর সময় পার হয়ে যাওয়ার পর এক প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। উনি জানিয়েছেন, রাহুলের নাগরিকত্ব চ্য়ালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। আমি ওঁকে জানাতে চাই, রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব আগেও বৈধ ছিল এখনও বৈধ। এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাছাড়া রাহুল সদ্যই ওয়ানাড়ে লোকসভার ভোটে লড়েছেন। কোনও অসুবিধা হয়নি। রায়বরেলিতেও তিনি লড়বেন। কোনও সমস্যা হবে না। এই ব্যাপারে কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল তৈরি হয়েছে।