তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের গাড়ি ভাঙচুর। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রবিবার সকালে বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। গাড়ির সামনের এবং পেছনের অংশের কাচ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।জানা গিয়েছে, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খানাকুলে এই ঘটনা ঘটেছে। খানাকুল ব্লকের মুস্তাফাপুর এলাকায় একটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ এই গাড়িটি প্রচারের কারণে ব্যবহার করে থাকেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই গাড়ির উপর বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা এসে হামলা চালায়। গারটিতে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি সন্দেশখালির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিশোধ স্পৃহা জেগে উঠেছে বিজেপির মধ্যে। সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের টার্গেট করা হচ্ছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এখানে মিতালী বাগের গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। মিতালি দেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। গাড়িটি এখানে রেখে তিনি প্রচারে গিয়েছিলেন। বিজেপির ছেলেরা এসে গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে, আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি বিষয়টা।’
দই ঘুঘনির পর এবার গুগলির ঝোলে মজলেন তৃণমূল প্রার্থী
তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, বিজেপি আরামবাগের খানাকুল এলাকায় আমাদের প্রার্থী মিতালি বাগের উপর হামলা চালায়। তার প্রচারাভিযানের গাড়ির পিছন দিকের উইন্ডশিল্ড এবং জানালাগুলি বিজেপির গুন্ডারা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা থেকে শুরু করে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানি, বিজেপির বাংলা-বিরোধী এবং নারী-বিরোধী মানসিকতার কোনও সীমা নেই!
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা এবং বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ সমর্থিত গুন্ডারা খানাকুলে তৃণমূল কংগ্রেসের আরামবাগের প্রার্থী মিতালি বাগ এবং তাঁর দলকে, প্রচারের সময় আক্রমণ করে এবং কর্মীদের আক্রমণ করে। গুরুতর এই আক্রমণে, গাড়ির পিছনের উইন্ডশিল্ড সহ জানালাগুলি এমনভাবে ভেঙেছে যে, মেরামতের কোনও জায়গাই নেই। সূত্রের খবর, বিজেপির গুণ্ডারা আজ মিতালি বাগের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর গাড়ি ঘেরাও করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। বিজেপি কর্মীদের এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল কংগ্রেস।
যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই। ইটা ওখানকার সাদারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ওখানে মানুষের কোনও উন্নয়ন হয়নি, সেই কারণে সাধারণ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।’