‘বাংলার আইকনরা RSS-এর হাতে বিপন্ন’, প্রচারে আক্রমণ সৃজনের
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
বাংলার মনীষীরা RSS-এর হাতে পড়ে বিপন্ন হচ্ছে। প্রচারে এমনটাই জানালেন যাদবপুরের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে এদিন কোদালিয়ায় নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করে প্রচার শুরু করেন সৃজন। সেখানেই RSS-এর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি।কোদালিয়ায় নেতাজির পৈতৃক ভিটেয় যান সৃজন। সেখানেই সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে রবিবাসরীয় প্রচার শুরু করলেন যাদবপুর কেন্দ্রের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি বলেন, ‘বাংলার এইসব আইকনরা RSS এর হাতে পড়ে বিপন্ন হচ্ছে। এদেরকে আবার তুলে ধরতে ও বাংলার সামগ্রিক যে ঐতিহ্য তা ফিরে আসুক, যাতে দাঙ্গাবাজরা বুঝে যায় বাংলা তাদের জায়গা নয়।’
রবিবার সকাল থেকে সোনারপুরের সুভাষগ্রাম এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার সারেন সৃজন। এদিন তিনি প্রচারের ফাঁকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লব কুমার দাসের সঙ্গে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, তাঁর প্রচারের পথে প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের বাড়ি পড়লে সেখানেও প্রচার করবেন তিনি। তিনি বলেন, যাদবপুরের সমস্ত ভোটারের কাছে যাচ্ছি। আমি রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধানের আশীর্বাদ চেয়েছি।
এই সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা পল্লব কুমার দাস জানান, এই বিষয়টিকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এটা রাজনৈতিক সৌজন্য। যে যার রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। বাম প্রার্থী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন, তৃণমূলের তরফে সৌজন্যতা দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে, সৃজনের বক্তব্যের জবাব দেন সায়নী। তিনি জানান, যাদবপুর কেন্দ্রের বামপ্রার্থী সৃজনের জন্য আমার বাড়ির দরজা সব সময় খোলা আছে বলে বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মল্লিকপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জানালেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ানী ঘোষ। তবে ঘরের দরজা খোলা থাকলেও ভোট বাক্সের দরজা খোলা থাকবে না বলেই জানাম সায়নী।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই দেখতে চলছে লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ, বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এবং বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে জোর লড়াই। গতবার লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। এবার শেষ হাসি হাসবে কে? সেটা জানা যাবে ৪ জুন।