'এখানে আসলে বলতাম বেঁধে রাখবেন', দিলীপকে নিশানা হুমায়ুনের
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
নির্বাচনী সভা থেকে বিজেপি নেতা তথা প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবের সমর্থনে ডেবরার রাধামোহনপুরে একটি পথসভায় যোগ দেন হুমায়ুন কবীর। সেই সভায় হুমায়ুন কবীর বলেন, 'দিলীপ ঘোষ পালিয়ে গিয়েছে, যে দুধের মধ্যে থেকে সোনা বের করত। না হলে এখানে আসলে আমি বলতাম বেঁধে রাখবেন, দুধ খাইয়ে বলবেন, পরের দিন ৫ কিলো সোনা দিয়ে যাও।' হুমায়ুন কবীরের এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সাংসদ হওয়া দিলীপ বর্ধমান শহরের টাউনহলে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। ওইদিন দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে, তাই দুধের রং হলুদ হয়।' এই দাবির ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন দিলীপ। বলেছিলেন, 'দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনাড়ি থাকে, সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়।' দিলীপের সেই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। যদিও নিজের বক্তব্য থেকে অবশ্য সড়েননি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ পালিয়ে গিয়েছে, যে দুধের মধ্যে থেকে সোনা বের করত। না হলে এখানে আসলে আমি বলতাম বেঁধে রাখবেন, দুধ খাইয়ে বলবেন, পরের দিন ৫ কিলো সোনা দিয়ে যাওহুমায়ুন কবীর
পরে একবার দিলীপকে বলতে শোনা যায়, 'কলকাতা বা তার আশপাশের জেলায় গো-পালন প্রায় হয়ই না, আমরা প্যাকেটের দুধ খাচ্ছি। আমি বলেছিলাম, দুধে সোনা পাওয়া যায়, অনেকে তার বিরোধিতা করেছিলেন, কিন্তু যাঁরা আসল দুধই খাননি, তাঁরা সোনার দর বুঝবেন কী ভাবে?'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার অবশ্য তাঁকে ওই কেন্দ্রে টিকিট দেয়নি বিজেপি। বরং এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে গতবারে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ। সেই বছর দিলীপের বিপক্ষে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মানস ভুঁইঞা। সিপিআই-এর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিপ্লব ভট্ট। কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হয়েছিলেন শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়। এবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করে পাঠিয়েছে বিজেপি।
এদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই জোর কদমে প্রচারও চালাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। ওই আসনে এবার দিলীপের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। আর সিপিএম-এর তরফে দাঁড় করানো হয়েছে সুকৃতী ঘোষালকে। তবে কীর্তি ও দিলীপের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর নির্বাচনী টক্কর। প্রচারের ময়দানে একে অপরকে দিচ্ছেন খোঁচা। উভয়েই মনে করছেন, এবার মানুষ তাঁদের সঙ্গেই থাকবে।