কল আছে জল নেই, ঘোর এ গ্রীষ্মে জলসংকটে বহু পরিবার! দেবের কাছে আর্জি, হিরণের কটাক্ষ...
২৪ ঘন্টা | ০৫ মে ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভোটের মুখে জল কি বড় ইস্যুতে পরিণত? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দন্দিপুর বক্সীপাড়া ও মুসলিম পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারদের অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে পানীয় জলের সংকট চলছে এখানে। কয়েকদিন আগে এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব। তাঁর গাড়ি থামিয়েও পানীয় জল পাচ্ছেন না বলে তাঁর কাছে জলের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা।
এই এলাকায় পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে বসানো হয়েছিল সজল ধারা প্রকল্প। কিন্তু বিদ্যুতের বিল না দেওয়ায় বর্তমানে এই জলপ্রকল্প বিদ্যুৎসংযোগবিচ্ছিন্ন। ফলে শুরু হয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। এলাকায় PHE পাইপ লাইনের ট্যাপ কলও বসেছে। কিন্তু এখনও তা চালু না হওয়ায় চরম পানীয় জলের সংকটে পড়েছেন দুটি পাড়ার ৩০টি পরিবারের সদস্যরা। বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত রায় জানিয়েছেন, সজল ধারার বিদ্যুতের বিল না মেটায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে, দ্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।জলকষ্টের ছবিটা অবশ্য অল্পবিস্তর বাংলার সব গ্রামেতেই এক। পশ্চিমবঙ্গের রাঢ অঞ্চলে গরমে জলকষ্ট তীব্র হয়। তবে, অন্য জেলাগুলিতেও একই ব্যাপার বছরের পর বছর ধরে চলছে। কয়েকদিন আগেই দীর্ঘ তিন মাস ধরে পানীয় জলের হাহাকারের খবর এসেছিল হুগলির এক গ্রাম থেকে।গোঘাটের পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝরিয়া গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে তীব্র জলকষ্ট। প্রায় এক বছর আগে পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জল প্রকল্পের গভীর নলকূপ ও জলের ট্যাংক তৈরি করা হয়েছিল ঝরিয়া গ্রামে। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই সেখান থেকে আর জল আসছে না ট্যাপে। পাড়ার লোকজন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এই ট্যাংক থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতেন। কিন্তু সেই ট্যাপেও জল পড়ে না প্রায় তিন মাস হতে চলল। আর এজন্য দূর থেকে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। তাঁদের একরকম বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হচ্ছে পুকুরের জলও। বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বলা সত্ত্বেও তাদের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।