সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিনেই কি বরফ গলল? ডেরেক ও ব্রায়েন, ব্রাত্য বসুদের দৌত্যেই কি জট খুলল? রবিবার যেভাবে ফের তৃণমূলের হয়ে ব্যাট ধরতে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে, তাতে এসব প্রশ্ন উঠছেই। যদিও কুণাল ঘোষের দাবি, এ নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সাংবাদিক বৈঠক। দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আর কুণাল ঘোষের এই সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে তৃণমূলের তরফেও মুখ খোলা হয়নি এখনও।
শনিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ?স্টিং? অপারেশনে ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে। তাঁকে বলতেও শোনা যাচ্ছে যে সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ ভুয়ো, মিথ্যা। গোটাটা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পরিকল্পনামাফিক। আর তার পরই রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটের মাঝে তা নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল রাজ্য রাজনীতি। রবিবার কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সাংবাদিক বৈঠক করে সন্দেশখালির এই ঘটনায় অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে তদন্ত শুরু করুক, এটাই দাবি তাঁর। ভাইরাল ওই ভিডিওতে (Viral Video) যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কুণাল ঘোষ। বিষয়টি যাতে শুধু রাজনৈতিক তরজায় আটকে না থাকে, সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ফের আগের মতো আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। স্টিং ভিডিও নিয়ে তাঁর মত, বিজেপির যে ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সরকার এবং সমাজবিরোধী চক্রান্ত। রাজ্যের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে। তাই এই ভিডিও আইনের আওতায় আসুক। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সন্দেশখালির মতো সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে আমি প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলাম। বলে আসছিলাম, নারী নির্যাতনের অভিযোগগুলি অসত্য। তখন অনেকেই আমার সমালোচনা করেছিলেন। এখন তার প্রমাণ হাতে এসেছে। মানুষের কাছে সবটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।’’